প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় বাড়ছে লাশের সারি নিহত ছাড়াল ২৪ হাজার

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১০০তম দিন পার হয়েছে গত রবিবার, কিন্তু উত্তেজনার প্রশমনের পরিবর্তে সেখানে বেড়েই চলেছে নৃশংসতা। গাজার পাশাপাশি এবার পশ্চিমতীরেও উত্তেজনা বাড়ছে। ওইদিন সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১০১তম দিন গতকাল সোমবার সকালে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলেও বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদাররা। এতে নিহত হয়েছে অন্তত ৩০ বেসামরিক ফিলিস্তিনি। গুরুতর আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। সব মিলিয়ে প্রায় ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগ্যানাইজেশনের ওয়াসেল আবু ইউসেফ জানিয়েছেন, পশ্চিমতীরের পরিস্থিতিও খারাপ হতে শুরু করেছে। এ ছাড়া গাজায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানবিক সংকট আরো তীব্র হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হচ্ছে, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ১০০ দিনের সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৩ হাজার ৯৬৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৬০ হাজার ৫৮২ জন।

এদিকে গাজায় ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টেলিযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে প্যালেস্টাইন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি পালটেল। সংস্থাটি জানিয়েছে, সেখানে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে কাজ করতে গিয়ে তাদের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধের ১০০ দিন পূর্ণ হলেও এই ভয়াবহতা কবে শেষ হবে তার কোনো ইঙ্গিত নেই। এমন পরিস্থিতে দেশে দেশে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। যুদ্ধের শততম দিনেও রাফায় রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শিশুসহ অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। পরের দিন সোমবার সকালে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে এই হামলায়। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

উত্তর গাজায় চিকিৎসাসেবাও সীমিত হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় একের পর এক হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো হাসপাতালই এখন আরো পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার অবস্থায় নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান না হলে মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির পলিটব্যুরো সদস্য ওসামা হামদান লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।

তিনি উপনিবেশবাদী মানসিকতা পরিহার করে অন্য দেশের সার্বেভৌমত্ব ও মুসলিম

স্বার্থের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ও লন্ডনের আগ্রাসী নীতির কারণে বিশ্বের সব দেশ ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close