প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

উত্তেজনার মধ্যেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

নতুন সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কোরীয় উপদ্বীপে বিরাজমান উত্তেজনার মধ্যেই মাঝারি-পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল দেশটি। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া রবিবার মধ্যবর্তী পাল্লার একটি নতুন সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে বলে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) সোমবার জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করেনি বলেও দাবি করা হয়েছে।

কেসিএনএর তথ্য অনুসারে, নতুন মাল্টি-স্টেজ হাই-থ্রাস্ট সলিড-ফুয়েল ইঞ্জিন এবং একটি মধ্যবর্তী-রেঞ্জের হাইপারসনিক ম্যানুভারেবল-নিয়ন্ত্রিত ওয়ারহেডের নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করার লক্ষ্যে রবিবার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। রয়টার্স বলছে, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুইয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পিয়ংইয়ং থেকে রাশিয়া সফরে যাওয়ার দিনই এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে বলে কেসিএনএ জানিয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে পিয়ংইয়ং তার প্রথম সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরপর ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতার বিরুদ্ধে নিজেদের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিমাপ করতে নতুন আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা।

মূলত পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জেরে দুই কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং সেই সঙ্গে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর হওয়ার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং রাশিয়া সফরের বিষয়টি সামনে এলো। আর এসব বিষয়ই ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের উদ্বিগ্ন করে চলেছে।

সোমবার পৃথক ভবিষ্যতে কেসিএনএ আরো জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য সিউলকে অভিযুক্ত করেছে উত্তর কোরিয়া। ‘এমনকি সামান্য স্ফুলিঙ্গও দুটি সবচেয়ে প্রতিকূল দেশের মধ্যে বিশাল সংঘাতের জন্য অনুঘটক হতে পারে’ বলে সেখানে মন্তব্য করা হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াকে তার দেশের প্রতি ‘সবচেয়ে শত্রুতাপূর্ণ’ রাষ্ট্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করার সময় এসেছে। কেসিএনএ সে সময় আরো জানায়, আত্মরক্ষা এবং পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য দেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংঘর্ষের আবহ সৃষ্টি ও অস্ত্র তৈরিতে উসকানি দেওয়ার জন্য সিউলকে অভিযুক্ত করেছেন কিম। এ ছাড়া কিম দুই কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান খারাপ সম্পর্ককে ‘পরিবর্তনের নতুন পর্যায়’ এবং ‘অনিবার্য বাস্তবতা’ বলেও অভিহিত করেছেন।

এর আগে গত মাসে দলীয় বৈঠকে কিম বলেছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন অসম্ভব। সে সময় তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার সরকার ‘নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন’ আনবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close