আশিকুর রহমান শুভ, ঢাবি

  ০৭ মে, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যৌন হয়রানির বিচার না পাওয়ার শঙ্কা

শিক্ষক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ‘ন্যায় বিচার’ না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা এই শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে বিভাগটির সব ব্যাচের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগটির ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। এ সময় শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিশেষ কোনো মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

লিখিত বক্তব্যে তিনি তিন দফা দাবি জানান, দাবিগুলো হলো- নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দ্রুততম সময়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা, অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা এবং তদন্ত চলাকালে বা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নাদির জুনাইদকে বিরত রাখা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাস্টার্স ব্যাচের ফলাফল ধসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তকারী কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে পারেনি উল্লেখ করে এ সময় আরো বলা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনে প্রক্টরের কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে একই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে রাজধানীর অন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও ‘যৌন হয়রানির’ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ৩ মার্চ তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close