কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

মধুসূদন দত্তের জন্মোৎসব

আজ কেশবপুরে মধুমেলা শুরু

আধুনিক বাংলা কাব্যের রূপকার ও বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মধুমেলা। যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে ওই মধুমেলার আয়োজন করেছে যশোর জেলা প্রশাসন। এদিন বিকেল ৫টায় মধুমেলার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। মেলা চলবে আগামী ২৭ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত।

উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তুহিন হোসেন জানান, মহাকবি মধুসূদনের জন্মোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত মধুমেলার উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথি থাকবেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ অফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহম্মেদ, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক বাবুল, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইয়াকুব আলী ও যশোর-৬ আসিনের সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যশোর জেলা শাখার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামসান পিকুল ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠিানে স্বাগত বক্তব্য রাখেবেন মধুমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তুহিন হোসেন।

মধুমেলা চত্বরে থাকছে কঠোর নিরাপত্তাবলয়। মধুমেলায় আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে যাত্রাপালা, সার্কাস, জাদু প্রদর্শনী, মৃত্যুকূপ, ভ্যারাইটি শো এবং নানা ধরনের পণ্যের স্টল।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত ও মাতার নাম জাহৃবী দেবী। শৈশবে পাশের শেখপুরা গ্রামের মৌলভি খন্দকার মখমল সাহেবের কাছে বাংলা ও ফারসি শিক্ষালাভ করেন। ১৮৩৩ সালে সাগরদাঁড়ি ছেড়ে কলকাতার খিদিরপুর যান। সেখানে লালবাজার গ্রামার স্কুলে ইংরেজি, লাতিনসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা নেন। কবি ১৮৩৭ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। ১৮৪৩ সালে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন এবং পিতৃগৃহ থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন। ১৮৫২ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইস্কুল বিভাগে শিক্ষকতার চাকরি নেন। ১৮৫৪ সালে দৈনিক ¯েপকটেটর পত্রিকায় সহ-স¤পাদক পদে নিযুক্ত হন। পরে তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে ব্যারিস্টারিতে ভর্তি হন।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য। এ ছাড়া দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ ইত্যাদি। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মহাকবি মৃত্যুবরণ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close