নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে ওঠে এসেছে। তবে নির্বাচনব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা কমে গেছে। নির্বাচন নিয়ে একটি পদ্ধতি অন্বেষণ করা প্রয়োজন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায়’ ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিইসি আরো বলেন, সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব হয় না। আমাদের অপবাদ ও বদনাম দুটোই নিতে হবে।

সিইসি বলেন, উদ্বেগ ও সংকট থেকে জাতি ওঠে এসেছে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়। রাজনীতিবিদদের যদি আস্থা না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। নির্বাচন নিয়ে প্রতি পাঁচ বছর পর পর যদি সংকট সৃষ্টি হয় তাহলে দেশের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও প্রয়োজন হবে একটি পদ্ধতি অন্বেষণ করা। নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা সম্ভব হলে আগামীতে নির্বাচন আরো বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। নিজেদের মেয়াদ শেষ হলেও সামনের কমিশনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে এই ধরনের পদ্ধতির সংকট নিরসনের আহ্বান জানান তিনি।

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা নয়। একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরা স্বস্তিবোধ করছি।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ঈমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সে স্ট্যান্ডার্ড থেকে নামতে পারব না। আমরা দেখিয়ে দেব, কীভাবে এই কমিশন কাজ করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা একটা ভালো নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। না করতে পারলে হয়তো আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। আমাদের সরকার সহায়তা দিয়েছে। না হলে একসুরে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না। আশা করি, মান-সম্মানের সঙ্গে চলে যেতে পারব।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সরকার একটি বিরাট শক্তি, তাদের সহযোগিতা যদি না পেতাম, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারতাম না। সব দল অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরো গ্রহণযোগ্য হতো।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। বিকেল সাড়ে ৩টায় শেষ ব্রিফ করা হলে ভোটার উপস্থিতির তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি হতো না।

"