দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পেরে তার প্রতিপক্ষদের প্রতি ক্ষোভ ঝারলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এ নিয়ে গত সোমবার রাত পৌনে ১০টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। স্ট্যাটাসটি নেট দুনিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের এই সাবেক এমপি তার নিজ ফেসবুক পেজ ‘গড়সড়ঃধু ইবমড়স’ থেকে ওই আবেগঘন স্ট্যাটাসটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

নির্বাচনের এক সপ্তাহ পর নিজের সুনাম ও খ্যাতি নষ্ট করার জন্য স্বার্থপর কিছু মানুষের মিথ্যা অপবাদ ও অত্যাচার সহ্যের কথা জানিয়ে ফেসবুকে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘নিজের খ্যাতিটাও মাঝে মাঝে গলার কাঁটা মনে হয়। সুনাম নষ্ট হবে এই ভয়ে মুখ বুজে কত যে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা আমি আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার অনেক কষ্টের অর্জন। মা-বাবা পীর মুর্শিদের দোয়াও আছে।’

তিনি আরো লেখেন, ‘আমার এই অর্জনের পেছনে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির হাত না থাকলেও আজ সেটাকে ধ্বংস করতে কতিপয় কিছু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। যারা কোনো দিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারেনি, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদের সম্মান ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি। সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। কষ্টটা হলো আমি যা না, আমি যা করিনি সেই অপবাদ আমাকে দিচ্ছে শুধু কিছু অর্থ স্বার্থের বিনিময়ে। আমি জানি সত্যটা ঠিকই একদিন এ দেশের মানুষ জানবে শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আল্লাহ তুমি এই স্বার্থপর মানুষগুলোকে হেদায়েত দান করো।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মমতাজ বেগমের স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে পড়লে তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা সহমর্মিতা ও সাহস জুগিয়ে ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। মানিকগঞ্জ-২ আসনের টানা দুবার জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও একবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ টুলুর কাছে পরাজিত হন এই কণ্ঠশিল্পী। ট্রাক প্রতীক নিয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে মমতাজ বেগম পান ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।

"