ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা খুনির উল্লাস

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক বিএনপি নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম হারুন অর রশিদ। তাকে কুপিয়ে হত্যার সময় খুনিকে উল্লাস করতে দেখা গেছে। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। গত সোমবার দুপুরে এ ঘটনার পর খুনি রুবেল মিয়াকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর গফরগাঁওয়ের নেওকা গ্রামে তার বাড়িতে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।

হারুন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাশার বলেন, হারুন হত্যার ঘটনায় রুবেলকে আসামি করে সোমবার রাতেই মামলা হয়েছে। রুবেল হাসপাতালে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এ কারণে এ প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রুবেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে হারুনকে উপর্যুপরি কোপাচ্ছেন। এতে একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হারুন। তাকে কোপাতে কোপাতে দুই হাত ওপরে তুলে উল্লাস করেন খুনি। মাটিতে পড়ে থাকার হারুনের শরীরে এরপর আরো দুটি কোপ দেয় রুবেল।

গফরগাঁওয়ের গয়েশপুর বাজারে প্রকাশ্যে হারুনকে কুপিয়ে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। এরপর অভিযুক্ত রুবেল মিয়াও জনতার গণপিটুনির শিকার হন। মারাত্মকভাবে আহত রুবেলকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে হারুনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গফরগাঁওয়ের নেওকা গ্রামে রুবেল মিয়ার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।

এলাকাবাসী জানান, হারুন গফরগাঁওয়ের পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামে। গয়েশপুর বাজারে তার হোমিওপ্যাথি ডিসপেনসারি রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রুবেলের বাড়িও পাইথল ইউনিয়নের নেওকা গ্রামে। রুবেল এলাকায় সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় লোকজন জানান, এর আগেও রুবেলের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে অনেক মানুষ। হারুনের এক আত্মীয়কে ২০১৩ সালে কুপিয়ে আহত করে রুবেল। এ নিয়ে চলমান একটি মামলার সাক্ষী ছিলেন হারুন। তাকে হত্যার নেপথ্যে এ কারণ হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close