reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

সাক্ষাৎকারে নবনির্বাচিত এমপি তাহমিনা বেগম

জনগণ ও স্থানীয় নেতাদের সমর্থনে জয় পেয়েছি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) তাহমিনা বেগম। সংসদে সংরক্ষিত সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বিপুল ভোটে বিজয়ের ব্যাপারে প্রতিদিনের সংবাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. জাহিদুল ইসলাম

প্রতিদিনের সংবাদ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ছিলেন আবদুস সোবহান গোলাপ, তিনি দ্বাদশ সংসদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার এবং প্রকাশনা সম্পাদক। তার মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করার সাহস করলেন কীভাবে?

তাহমিনা বেগম : আমি প্রার্থী হতে চাইনি। আবদুস সোবহান গোলাপ মাদারীপুর-৩ আসনের জনগণের ওপর অন্যায় ও জুলুম করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। গোলাপের মতো প্রার্থী দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব না। তখন দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি মিলে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় এক স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়া হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ : আপনি কি জানতেন আপনাকে প্রার্থী করা হবে?

তাহমিনা বেগম : আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হব সেটা জানতাম না। দলের সবাই আমার নাম প্রস্তাব করেন। আমি এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য সময় চাই। আগে নির্বাচন করেছে এমন নেতাকে প্রার্থী হতে আমি অনুরোধ করি। নেতার সবাই আমাকে নির্বাচন করার অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতির ঘোষণা, দলের সবাই নির্বাচন করতে পারবেন। তখন আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হই।

প্রতিদিনের সংবাদ: নির্বাচনের শুরুতেই আপনার প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। মিছিলে বোমা হামলা, কর্মীকে কুপিয়ে হত্যাসহ একাধিক ঘটনা ঘটে। এমন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকলেন কীভাবে?

তাহমিনা বেগম: সাধারণ জনগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের সব নেতা নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে এক হন। সবাই আমার পাশে থাকায় হামলা করেও আমাকে ঘাবড়ে দিতে পারেনি। প্রশাসনও শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রতিদিনের সংবাদ: আপনার বিজয় মিছিলেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখন এমপি হিসেবে এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন?

তাহমিন বেগম: পাঁচ বছেরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। প্রতিপক্ষ চাইলে বাধা দিতে পারে। আমি চার দশকের বেশি সময় ধরে আওয়মী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছি। দলে নেতাকর্মীরা আমার পাশে থাকলে নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারব।

প্রতিদিনের সংবাদ: আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন নাকি স্বতন্ত্ররা মিলে কোনো জোট করবেন?

তাহমিনা বেগম: দল থেকে তো পদত্যাগ করিনি, আমার বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ঘোষণায়। আমি অবশ্যই আওয়ামী লীগের অংশ হিসেবে থাকতে চাই।

প্রতিদিনের সংবাদ: আবদুস সোবহান গোলাপের উদ্দেশ্য আপনার কি কিছু বলার আছে?

তাহমিনা বেগম: আমি তার উদ্দেশ্যে বলে চাই, জনগণ সব সময় ন্যায়ের পক্ষেই থাকে। আপনি জনগণের সঙ্গে অন্যায় করেছেন তাই তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close