প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

শতবর্ষীর ভোট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা বয়সি ভোটারের পাশাপাশি এসেছেন শতবর্ষীরাও। তাদের মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুরে নাতির কোলে চড়ে শহর বানু, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নাতিদের কাঁধে ভর করে হেমন্ত নাথ ও পটুয়াখালীর দশমিনায় মেয়ের সহায়তায় রতন বিনি বালা ভোট দিয়ে যান। জীবনসায়াহ্নে এসে ভোট দিতে পেরে খুশি বলে জানান এই তিন শতবর্ষী নারী। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

শ্রীপুর (গাজীপুর) : গাজীপুর-৩ আসনে নাতির কোলে চড়ে এসে ভোট দিলেন শতবর্ষী নারী শহর বানু। সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নাতি মুনসুর আল মামুনের কোলে চড়ে এসে ভোট দেন। শহর বানু শ্রীপুর উত্তরপাড়া গ্রামের এক ওয়ার্ডের মৃত তাহের আলীর স্ত্রী। শহর বানু জানান, জীবনে আর ভোট দিতে পারব কি না জানি না। তাই ভোট দিতে এলাম। তাই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে এসেছি নাতির কোলে চড়ে। স্বাচ্ছন্দ্যে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এতে তিনি খুশি বলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

মিরসরাই (চট্টগ্রাম): মিরসরাইয়ে ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। আর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুই নাতির কাঁধে ভর দিয়ে ভোট দিতে আসেন শতবর্ষী হেমন্ত নাথ। নাতি অরুণ নাথের (৩৬) দাবি, তার দাদির বয়স প্রায় ১০০ বছর। নিজে একা চলাফেরা করতে পারেন না। কানেও কম শোনেন। কথাও বলতে কষ্ট হয়। জীবনসায়াহ্নে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আগ্রহ করেছেন। তাই সিএনজি করে আমরা নাতিরা তাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। আরেক নাতি অরুণ নাথ বলেন, ‘দাদিকে এনে ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। তার একটা ইচ্ছে পূরণ করতে পারলাম।’ হেমন্ত নাথকে ভোট দিতে সহায়তা করেন কেন্দ্রটির পোলিং অফিসার রেবেকা সুলতানা। এ সময় তিনি হেমন্ত নাথের কাছে জানতে চান, ভোটকক্ষে আপনার সঙ্গে আপনার নাতি যাবে? হেমন্ত নাথ মাথা নেড়ে সায় দেন। ইশারায় জানান, তিনি কানে কম শোনেন। তারপর গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দেন। হেমন্ত নাথ মিরসরাইয়ের করেরহাটের ছত্তরুয়া গ্রামের নিতার বাড়ির বাসিন্দা।

দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের রতন চন্দ্রের স্ত্রী রতন বিনি বালার বয়স প্রায় শতবর্ষী। সকাল ৯টায় উপজেলার নলখোলা বন্দরের ভোটকেন্দ্রে আসেন ভোট দিতে। রতন বিনি বালা বলেন, পাঁচ বছর পর ফের ভোট হবে। বাঁচি না মরি ভগবানই জানেন। তাই শেষবারের মতো শেখ হাসিনাকে ভোট দিতে এলাম। রতন বিনি বালার সঙ্গে এসেছেন তার কন্যা। তিনি বলেন, মা শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল ও অসুস্থ। বারণ করার পরও সকালে ঘুম থেকে উঠে ভোট দেওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নিয়ে এলাম ভোটকেন্দ্রে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার কামারখন্দ উপজেলায় জামতৈল মডেল প্রাইমারি স্কুলের ভোটকেন্দ্রে মেয়ের কোলে চড়ে প্রায় শতবর্ষী নারী মজেদা বেগম ভোট দিতে আসেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close