reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ এপ্রিল, ২০২৪

কর্মজীবীদের ফেরা শুরু, ঢাকা ছাড়ছেনও অনেকে

এবার ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটি পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। ঈদযাত্রায় ভোগান্তিও ছিল তুলনামূলকভাবে কম। ঈদ শেষে এবার ফেরার পালা। পয়লা বৈশাখসহ আরও দুই দিনের ছুটি থাকলেও কর্মজীবীদের অনেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিনেই ঢাকায় ফেরা শুরু করেছেন। তবে যতজন ঢাকায় ফিরছেন এর চেয়ে বেশি মানুষকে আজ ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে ট্রেন, বাস ও বাস টার্মিনালে ঢাকা ছাড়ার জন্য মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে। আবার দুপুরের পর থেকে অনেককে ঢাকায় ফিরতেও দেখা গেছে। তবে ঢাকামুখী স্রোত এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী দুই দিন ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

সকালে রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে যাত্রীরা ভিড় করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারণে ঈদে বাড়ি ফিরতে না পারলেও পরদিন যাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদপরবর্তী আনন্দ ভাগাভাগি করতে। আগামীকালও অনেকে ঢাকা ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

রাজধানীর মহাখালী বাস কাউন্টারে ময়মনসিংহের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ইদ্রিস আলী ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তিনি জানান, পারিবারিক কিছু ঝামেলার কারণে এবার ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি। এজন্য ঈদের পরদিন যাচ্ছেন। একই কথা জানিয়েছেন, অন্যান্য যাত্রীরাও।

ময়মনসিংহগামী এনা বাসের চালকের সহকারী শাহীন জানান, আজ তারা মোটামুটি যাত্রী পাচ্ছেন। আগামীকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে কমলাপুর রেল স্টেশন এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও দেখা গেছে নগরবাসীদের অনেকেই ঢাকা ছাড়ছেন। তবে ঈদের আগের মতোই পরেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। যদিও পরিবহন শ্রমিকদের দাবি, তারা নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছেন। মালিকরা যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছেন এর চেয়ে বেশি নেওয়ার সুযোগ তাদের নেই।

এদিকে ঈদ শেষে অনেকে আগেভাগেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। তারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ছুটি কাটানোর সুযোগ না থাকায় তাদের ঈদের পরদিনই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত চাপ এড়াতে আগেভাগেই ঢাকায় চলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।

বিকেলে কমলাপুর রেল স্টেশনে কথা হয় লালমনিরহাট থেকে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক সপ্তাহ আগেই ঢাকা ছেড়েছিলেন। তার অফিস আগামীকাল থেকে খোলা। এজন্য পরিবারের অন্যদের রেখেই তাকে ঢাকায় ফিরতে হলো।

তবে অনেকে ছুটি থাকলেও আগেভাগে চলে এসেছেন ভিড় এড়াতে। সিলেট থেকে ফেরা আব্বাস খন্দকার জানাচ্ছিলেন, তার ছুটি আরও দুই দিন রয়েছে। তবে আগামীকাল ও পরশু ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ অনেক বাড়বে। তাছাড়া ট্রেনের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছিল না। এজন্য তিনি একটু আগেই ঢাকায় ফিরেছেন।

এবার শবে কদর, ঈদুল ফিতর এবং পয়লা বৈশাখসহ সাপ্তাহিক ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় লম্বা ছুটি পান কর্মজীবীরা। ঈদ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়। কিন্তু গেল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন। এরপর শুক্র ও শনিবার দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। মাঝে রোববার পবিত্র শবে কদরের ছুটি ছিল। সোম ও মঙ্গলবার সরকার ঐচ্ছিক ছুটির সুযোগ দেয়। ঈদের ছুটি ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। এর পরদিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। আবার পরদিন রোববার পয়লা বৈশাখের ছুটি। এতে দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে পড়ে দেশ।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close