reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ মার্চ, ২০২৪

ইফতারের আগে যেসব রুটে হতে পারে তীব্র যানজট

রমজান উপলক্ষে সব অফিস আদালতের সময় কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয় যেন অফিস শেষেও সবাই পরিবারের সঙ্গে গিয়ে ইফতার করতে পারেন। কিন্তু এই জ্যামের শহরে অনেকেই ঠিক সময়ে বাসায় উপস্থিত হতে পারে না। নগরবাসীকে যানজট বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে নানা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও মিলছে না তেমন সুফল।

রাজধানীতে সকাল ৯টার দিকে এবং বিকেল ৩টার পর থেকেই শুরু হয় যানজটের বিড়ম্বনা। মেগা প্রকল্পগুলোর পরেও সড়কজুড়ে কেন এত যানবাহনের চাপ, তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নগরবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

উন্নয়নের কারণে রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ যাতায়াত নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে। তবে অধিকাংশের দুঃশ্চিতার কারণ রমজান মাসে অফিস শেষে ইফতারের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে। এক্ষেত্রে মগবাজার, মালিবাগ, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১১টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের।

অনেকে বলছেন, রমজান আসলে যানজটের আতঙ্ক বেড়ে যায়। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকে।

অন্তত ১১টি রুটের যানজটের চিত্র সামনে আসছে, যেসব রুটে প্রায়ই লেগে থাকে। অনেক গণপরিবহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না বিধায় যানজটের শঙ্কামুক্ত নয় উত্তরা, খিলক্ষেত কিংবা ফার্মগেট। অন্যদিকে, মিরপুর রোড, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান এবং সরদঘাট ঘিরেও আছে যানজটের তীব্র আশঙ্কা। মেট্রোরেলের সংযোগ থাকলেও মতিঝিলে গাড়ির চাপ থাকে অনেক বেশি।

ঢাকা মহানগর পুলিশেল (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। রমজানের সময়টাতে গাড়ির গতি হয়ত ধীর হবে। ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তবে অন্তুত ২০ কিলোমিটার বেগে যেন গাড়ি চলতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মেগা প্রকল্প,যানজটের বিড়ম্বনা,ইফতারের আগে
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close