নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা সমাজের সাহসী সন্তান : ডা. এম. ইকবাল আর্সলান

স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা সমাজের সাহসী সন্তান উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বেসিক সায়েন্স অ্যান্ড প্যারাক্লিনিকাল সায়েন্সের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা সমাজের সাহসী সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের সাহসী সন্তানেরা যেমন দেশের জন্যে রক্ত দিয়েছেন, দেশের সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে মুমূর্ষুকে বাঁচাতে স্বেচ্ছা রক্তদাতারাও তেমনি রক্তদানের মাধ্যমে অতুলনীয় মহৎ কাজ করছেন।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।

ডা. ইকবাল আর্সলান আরও বলেন, বিভিন্ন প্রাদুর্ভাব বা দুর্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদাতারাই রক্ত দান করে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা তথা দেশের দুর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহায়তা করেন। দেশের সকল স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচির আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মহৎ এই কাজে তরুণ সমাজ এগিয়ে এসে রক্ত ঘাটতি মেটাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন- এমন ৩৬৭ জন স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে লাইফ লং ২৩১, সিলভার ৯০, গোল্ডেন ৩৫ জন এবং প্লাটিনাম সদস্য ছিলেন ১১ জন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান।

এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ৫১ বার দানকারী এ পজেটিভ গ্রুপের রক্তদাতা আলী মোহাম্মদ আল রাজী এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত প্রাচী রূপশ্রী।

স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্তের চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে নতুন স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার মানবিক আহ্বান জানান আলোচকরা।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দশকের যাত্রায় কোয়ান্টাম গড়ে তুলেছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার স্বেচ্ছা রক্তদাতার সুসংগঠিত ডোনার পুল। যাদের অর্ধ লাখ নিয়মিত রক্তদাতা অঙ্গীকার করেছেন আজীবন রক্তদানে। মুমূর্ষের জীবন বাঁচাতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে কোয়ান্টাম। সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধ করার মধ্যদিয়ে বর্তমানে বছরে এ সরবরাহ সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি ইউনিট।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close