reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ জানুয়ারি, ২০২০

সাঈদ খোকনের এপিএস ও হুইপের পিএকে দুদকে তলব

ক্যাসিনোকাণ্ডে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) শেখ কুদ্দুসসহ তিনজনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চিঠিতে তাদের তলব করা হয়।

দুদকে তলব করা বাকি দুজন হলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) এজাজ চৌধুরী এবং যুবলীগের সাবেক সহসম্পাদক মুন্সিগঞ্জের জাকির হোসেন। তাদের মধ্যে শেখ কুদ্দুস ও এজাজ চৌধুরীকে ২১ জানুয়ারি এবং জাকির হোসেনকে ২০ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদকের নোটিশে বলা হয়, ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য তলব করা ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অভিযানে একে একে গ্রেপ্তার হন কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ অনেকেই। গ্রেপ্তার হওয়া এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক হওয়া, অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপকর্মে সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সাংসদ, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্নজনের নাম উঠে আসে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের পাশাপাশি তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রথমে সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। পরে আরও দুজনকে দলে যুক্ত করা হয়।

অনুসন্ধান দলের সদস্যরা গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেন। সংস্থার গোয়েন্দা শাখার পক্ষ থেকে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। পাশাপাশি র‍্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানেরা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেন। সেসব তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইতিমধ্যে ১৯টি মামলা করে দুদক।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দুদক,এপিএস,তলব,পিএ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close