reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সনদ বাণিজ্য: কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রীর জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনের (৫৪) জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালতে মামলাটি জামিন শুনানির জন্য ছিল। তবে, এ দিন আইনজীবী আবদুর রহমান শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেন।

গত ২১ এপ্রিল তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওইদিন আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই মামলায় গ্রেপ্তার কারিগরি বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট একে এম শামসুজ্জামান পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দেন। পরবর্তী সময়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে আরও তিন লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দেন তিনি। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এসব বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এ কে এম শামসুজ্জামান।

পরে গত ২০ এপ্রিল শনিবার সেহেলা পারভীনকে উল্লেখিত ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি একে এম শামসুজ্জামানের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্তে সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান।

আলী আকবর খান কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় স্বামীর দ্বারা একে এম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেছিলেন বলে স্বীকার করেন সেহেলা পারভীন। তার প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামি একে এম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close