আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা
জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রস্তাবিত এই বাজেটে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ের বিপরীতে মোট রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এতে আয়-ব্যয়ের ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
ঘাটতি অর্থায়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৫৪ হাজার ৬৭ কোটি টাকা (জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ) এবং অভ্যন্তরীণ সূত্র হতে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা (জিডিপির ২ দশমিক ৮ শতাংশ) সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা হতে সংগৃহীত হবে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা (জিডিপির ১ দশমিক ৭ শতাংশ) এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে আসবে ২৯ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা (জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ)।
বাজেট বক্তৃতায় এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, বৈদেশিক সহায়তার যে বিশাল পাইপলাইন গড়ে তোলা হয়েছে তার ব্যবহার বাড়াতে পারলে অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপর নির্ভরশীলতা যথেষ্ট কমানো সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস এবং সে প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাবো, যাতে ক্রমাগত বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরুর পর অর্থমন্ত্রী প্রথমেই চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট উপস্থাপন করেন। এরপর আগামী২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।
এটি দেশের ৪৭তম ও আওয়ামী লীগ সরকারের ১৮তম এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বাদশ বাজেট প্রস্তাব। ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
পিডিএসও/তাজ