আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ জুলাই, ২০২০

ডব্লিউএইচও ছাড়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কের ইতি টানার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা কার্যকর হবে ২০২১ সালের ৬ জুলাই থেকে। ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আনুষ্ঠনিক নোটিফিকেশন পাওয়ার পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার এ কথা জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জাতিসংঘের এই সংস্থা ‘চীনের পুতুলের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ডব্লিউএইচওর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্নের ওই ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছিলেন মাসখানেক আগে। নিয়ম অনুযায়ী, তা কার্যকর করার আগে এক বছরের নোটিস দিতে হয় এবং জেনিভাভিত্তিক এই বিশ্বসংস্থাকে যে চাঁদা দেশটির দেওয়ার কথা তা এই সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যেসব দেশের টাকায় চলে, তার মধ্যে এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদার পরিমাণই এতদিন ছিল সবচেয়ে বেশি। কেবল ২০১৯ সালেই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তহবিলের পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ডলারের বেশি, যা ডব্লিউএইচওর মোট বাজেটের ১৫ শতাংশের মতো।

ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সেই চাঁদা বাবদে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখনো ২০ কোটি ডলারের বেশি পাওয়া রয়েছে জাতিসংঘের এ সংস্থার। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চীনের সঙ্গে টানাপড়েনের জেরে যুক্তরাষ্ট্র এখন ডব্লিউএইচওর সঙ্গে ৭০ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি ট্রাম্প বলেছিলেন, চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর সংস্থাটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তথ্য ‘গোপন করেছিল’। ডব্লিউএইচওকে ‘চীন ঘেঁষা’ আখ্যায়িত করে এই বিশ্বসংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close