খালেদা জিয়ার ১১ মামলার চার্জ শুনানি ১০ এপ্রিল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১০ এপ্রিল পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত। খালেদার আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন। হাজির হওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে পারেননি। তার চোখের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদন মঞ্জুর করে সবগুলো মামলার চার্জ গঠনের শুনানির দিন আগামী ১০ এপ্রিল পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত।
খালেদার বিরুদ্ধে ১১টি মামলার মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, দারুস সালাম থানার নাশকতার আটটি ও যাত্রাবাড়ী থানার দু'টি মামলা। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনাসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।
ওইদিন খালেদা জিয়া আরো বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। এছাড়া ২০১৫ সালে মিরপুরের দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
পিডিএসও/হেলাল