খাগড়াছড়ি ও মানিকছড়ি প্রতিনিধি

  ২২ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি 

জড়িতদের শাস্তি হোক, তবে হয়রানি বন্ধের দাবি

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছে পাহাড়ের বিভিন্ন ছাত্র, নারী ও যুব সংগঠন। তবে ডাকাতিতে জড়তি সন্দেহে গ্রেপ্তার, হয়রানি বন্ধ এবং আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি জানিয়েছে তারা। সোমবার (২২ এপ্রিল) খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে ওই দাবি জানানো হয়।

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এ সমাবেশ করে। আয়োজকরা বলেছেন, ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিলে তাদের কোনো আপত্তি নেই। গতকাল সকালে মানিকছড়ি উপজেলার জামতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পেট্রল পাম্প এলাকা ঘুরে আবার জামতলায় এসে শেষ হয়। এরপর প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। এতে পিসিপির মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য আনু মারমার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি অংহ্লাচিং মারমা ও সাধারণ সম্পাদক অংসালা মারমা। সমাবেশ থেকে বক্তারা জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারদের বাজার থেকে নিত্যপণ্যের ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বম জাতিসত্তাসহ সব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানান।

এদিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের উপজেলা শাখা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তিন সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলা শাখা সভাপতি লিটন চাকমার সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রামগড় উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক তৈমাং ত্রিপুরা। এতে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলা শাখা সদস্য ধনু ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রামগড় উপজেলা শাখা সহসভাপতি রাজু ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ রামগড় উপজেলা শাখা সভাপতি গুলো মণি চাকমা ।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, দিনমজুর, চাকরিজীবীসহ সাধারণ লোকজনকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত করে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। এটা গণগ্রেপ্তার ও বিচার বর্হিভূত। নিত্যপ্রয়োজীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর বাধা দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। একই সঙ্গে তারা ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
খাগড়াছড়ি,বান্দরবান,মানিকছড়ি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close