পঞ্চগড় প্রতিনিধি

  ২০ এপ্রিল, ২০২৪

পঞ্চগড় সদর

দুই ইউনিয়নবাসীর পারাপারে ভরসা নড়বড়ে সাঁকো

পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া ঈদগা মাঠ সংলগ্ন ঘাটে কুরুম নদীর উপর বাঁশের সাঁকো -প্রতিদিনের সংবাদ

পঞ্চগড় সদরে ডাংগাপাড়া ও উত্তর ভাটিয়াপাড়ায় দুই ইউনিয়নবাসীর কুরুম নদীর উপর পারাপারে ভরসা নড়বড়ে সাঁকো। ডাঙ্গাপাড়া ঈদগা মাঠ সংলগ্ন ঘাটে সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে অভিযোগ তাদের। সেতুর প্রস্তাবনা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজটি বাস্তবায়িত হবে জানান সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী।

চাকলা হাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনার রহমান জানান, সাঁকোর দক্ষিণের গ্রামগুলো হলো উত্তর ভাটিয়াপাড়া, সরদারপাড়া, বৈরাগী পাড়া, বসুনিয়া পাড়া, কিতনিয়া পাড়া, তহসিলদার পাড়া, ভান্ডারুগ্রাম, প্রধানপাড়া, বকসীপাড়া সহ আরো কিছু গ্রাম। হাট সংলগ্ন সরদারপাড়া প্রাথমিক, ডোলোপাড়া শেখ রাসেল প্রাথমিক, ভান্ডারুগ্রাম এলএসএস প্রাথমিক, নতুন চাকলা হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন চাকলা উচ্চ বিদ্যালয়। এই ডাংগাপাড়া ঘাটে একটি সেতু হলে শুধু ডাংগাপাড়া এবং উত্তর ভাটিয়াপাড়ায় নয় দুই ইউনিয়নের মানুষের মানুষের মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি হবে। ডাংগাপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ২০০৫ সাল থেকে আমরা গ্রামবাসী নিজ অর্থ এবং স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করি। ভেঙ্গে গেলে আমরা নিজেরাই আবার মেরামত করি। একই গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, নদীর ওপারে তিনটি হাট রয়েছে। নতুন চাকলা হাট, চাকলা হাট ও টুনিরহাট। প্রতি শনি ও বুধবার চাকলা হাট এবং সোম ও শুক্রবার টুনিরহাট বসে। ওই সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেক মানুষ সাইকেল ও মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচলে সাঁকো ভেঙ্গে পড়ে গেছে।

চাকলা হাট ইউনিয়নের উত্তর ভাটিয়াপাড়া গ্রামের যুবক আরিফুল ইসলাম বলেন, নদীর দক্ষিণ পাশে আমাদের ঈদগা মাঠ। এ সাঁকো পার হয়ে আমাদের ৬টি গ্রামের মানুষকে ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়তে যেতে হয়। এখানে পাকা সেতু হলে চলাচলে সুবিধা হবে।

হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, ওই সাঁকো দিয়ে সিংগিয়াপাড়া, লক্ষপতিপাড়া এবং ঢাংগিপুকুরী এলাকার মানুষ সাধারণত চাকলাহাটসহ বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য, শাকসবজি ও গরুবাছুর নিয়ে যাতায়াত করে। ডাঙ্গাপাড়ায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের মানুষের বসবাস। গ্রামের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করতে যেতে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। নদী পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় এখানকার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ওইখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে চলাচলে সবার সময় ও শ্রম কমবে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, পঞ্চগড় সদরের হাড়িভাষা ও চাকলা হাট ইউনিয়নের মাঝে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কুরুম নদীর উপরে ৭০ মিটার সেতুর প্রস্তাবনা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজটি বাস্তবায়িত হবে বলে জানান তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পঞ্চগড় সদর,ডাংগাপাড়া ও উত্তর ভাটিয়াপাড়া,কুরুম নদী,ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close