ফারুক হোসেন ডন, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
নাচোলের নেজামপুর-গোলাবাড়ি
দুই স্টেশনে নেই মাস্টার, কম বগিতে ভোগান্তি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ও গোলাবাড়ি রেলস্টেশনে নেই কোনো টিকিট মাস্টার। অন্যদিকে ভিড় থাকলেও ট্রেনের বগি রয়েছে কম। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত ট্রেনযাত্রী।
সরেজমিনে স্টেশনে উপস্থিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে সব ধরনের ট্রেন দাঁড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন হয়েছিল। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান ট্রেন দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে করোনাকালীন লোকাল দুই ট্রেনের মধ্যে আবার একটি বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় ওই সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় লোকাল ট্রেনটি চলাচল করছে। দিনরাতে রহনপুর থেকে রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রহনপুর ৪ বার যাওয়া-আসা করে।
তবে প্রায় এক বছর কোনো টিকিট মাস্টার ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে নেজামপুর ও গোলাবাড়ি রেলস্টেশনটি। এতে করে হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এবং ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, টিকিট মাস্টার না থাকায় আমরা বেআইনিভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেক হয়রানির শিকার এবং অপমান হয়ে থাকি। নিজের কাছে টিকিট না থাকায় ট্রেনে থাকা চেকাররা ধমক দিয়ে কথা বলেন। আবার বেশি ভাড়া আদায় করে থাকেন। বিনিময়ে টিকিট বা কোনো কিছু ডকুমেন্টও দেওয়া হয় না। তো সেই টাকাগুলো যাচ্ছে কোথায়।
- ৫ বছর আগে সব ধরনের ট্রেন দাঁড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন হয়েছিল
- লোকবল সংকটে রেলস্টেশন দুটিতে টিকিট মাস্টার পদ শূন্য
- রহনপুর থেকে রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রহনপুর ৪ বার যাওয়া-আসা করে ট্রেন
অন্যদিকে অনেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ট্রেনগুলোতে কোচ কম থাকায় ভিড় বেশির কারণে ট্রেনে উঠতে না পেরে ফেরত যেতে হচ্ছে। কারণ ট্রেনের কোচ মাত্র আড়াইটি। এবং যাত্রীর পরিমাণ অনেক বেশি।
ট্রেনযাত্রীরা বলেন, টিকিট মাস্টার নিয়োগ, ট্রেনের কোচ বাড়ানো এবং সব ধরনের ট্রেন দাঁড়ানোর জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ আবেদন জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে পাকশী রেলওয়ের বাণিজ্যিক অফিস সহকারী কর্মকর্তা নুর আলম মোবাইলে বলেন, লোকবল সংকটে নেজামপুর ও গোলাবাড়ি রেলস্টেশনে টিকিট মাস্টার পদটি শূন্য রয়েছে।
সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দেশের বাইরে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পিডিএস/জেডকে