চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

  ২০ এপ্রিল, ২০২৪

চৌগাছার কপোতাক্ষ 

অবৈধভাবে কাটা মাটি রাখা হচ্ছে আখ সংগ্রহ কেন্দ্রের মাঠে

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে কপোতাক্ষ নদ খনন করে পাড়ের মিশ্রিত মাটি-বালি সমান করার নামে অবৈধভাবে কেটে নিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী তোতা খানের বিরুদ্ধে।

সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে নদী খনন কাজের ঠিকাদারদের চাপে রেখে প্রকাশ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) বসিয়ে ৮ থেকে ১০ ট্র্যাক্টর দিয়ে দিন-রাত মাটি উত্তলোন করে গচ্ছিত রাখা হয়েছে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের শিশুতলা ইক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্রের খোলা মাঠে।

এলাকাবাসী জানান, সরকারের টাকায় নদের মাটি কেটে কীভাবে নিয়ে যাচ্ছে। আইনের লোকজন কি করছে? রাস্তাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। ধুলোয় চলাচল করা যাচ্ছে না। মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল করায় শিশু ও বয়স্ক পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।


  • বিলীন হচ্ছে কপোতাক্ষ পাড়ের মাটি
  • ধ্বংস হচ্ছে সরকারি কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প
  • হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ

চৌগাছা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস মোবাইলে বলেন, বেশ কয়েক দিন ঈদের ছুটিতে ছিলাম, ছুটি কাটিয়ে এসে বিষয়টি শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মাটিকাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, অবৈধ বালি মাটি ব্যবসায়ী তোতা খানের (৩৫) বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের তিলোচাঁদপুর ইউনিয়নের ধলাথদাদপুর গ্রামে।

এদিকে, শিশুতলা ইক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্র মাঠে মাটি বালি গচ্ছিত রাখা বিষয়ে কথা বলতে গেলে দালাল চক্রের সদস্য কুদ্দুস বলেন, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের প্রেসিডেন্ট গোলাম রসূলের কাছ থেকে পারমিশন (অনুমতি) নিয়েছি।

শিশুতলা ইক্ষু সংগ্রহ কেন্দ্রের সি আই মাসুদ রানা বলেন, আমি ঈদের কয়েকদিন আগে জামালপুর গ্রামের বাড়ি ছুটিতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি সেন্টারে মাঠে মাটি বালি রাখা হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে আমি তাদের বাধা দিই এবং গাড়ি আটকে রেখে দিয়ে মোবারকগঞ্জ সুগার মিল প্রেসিডেন্টের বিষয়টা জানাই। জবাবে গোলাম রসূল আমাকে জানান, হ্যাঁ তাদের পারমিশন দেওয়া হয়েছে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে গাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।

জানতে চাইলে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম মোবাইলে বলেন, মিলের জায়গায় মিশ্রিত মাটি বালি রাখার কোনো পারমিশন দেওয়ার এখতিয়ার নাই সুগার মিলের প্রেসিডেন্ট গোলাম রসূল সাহেবের। তিনি আরো বলেন, যদি কখনো কেউ কোনো জিনিস রাখতে চায় তাহলে মিল কর্তৃপক্ষের কার্যালয় আবেদন করলে তাদের পারমিশন দেওয়া হয় ভাড়ার বিনিময়ে। খুব দ্রুত বিষয়টা আমি দেখছি।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
যশোর,চৌগাছা,কপোতাক্ষ,মাটি,কাটা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close