মেহেদী হাসান, পাথরঘাটা (বরগুনা)

  ০৮ এপ্রিল, ২০২৪

বরগুনা

সুপেয় পানির অভাবে ১৩ বর্গকিলোমিটারের বাসিন্দা

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

ক্যাপ: পাথরঘাটায় পৌর শহরের রিজার্ভ পুকুর পাড়ে সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন -প্রতিদিনের সংবাদ

বরগুনার পাথরঘাটায় সুপেয় পানির অভাবে আছেন পৌরসভা ১৩ বর্গকিলোমিটার ও এর আশপাশের এলাকার জনসাধারণ। কারণ ওই এলাকার সুপেয় পানির ভরসাস্থল রিজার্ভ পুকুর। যা সীমানা প্রাচীর না থাকায়, অব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের অভাবে পুকুরের পার যাচ্ছে দখলদারদের দখলে। এতে পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে জনসাধারণ।

এর আগে সুপেয় পানির দাবি নিয়ে অনশন ও মানববন্ধন করেছে উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ‘ধরা’র আয়োজনে ও সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবি ফোরাম। গত রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পাথরঘাটা পৌর শহরের রিজার্ভ পুকুর পাড়ে এ মানববন্ধন হয়।

এদিকে তারা বরগুনা জেলা প্রশাসক সুলতানা নাদিরার নিকট স্বারকলিপি প্রদান করে তারা। পানি পরিস্কার করা সহ এ সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলমান জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এসময় মানববন্ধনে মেহেদী শিকদার বলেন, পুকুরের চারপাশে গরুর মুত্রের অভাব নেই, নিরুপায় হয়ে এই নষ্ট পানিই ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ মানববন্ধনে চার দফা দাবি হলো পুকুর খনন করা, ওয়াল নির্মাণ করা, অবৈধ উচ্ছেদ করা, মানসম্মত ফিল্টার নির্মাণ করা। ১৫ দিনের মধ্যে পাইপসহ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে নাহলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

এতে আরো বক্তব্য দেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্মী মেহেদী শিকদার, সাংবাদিক অমল তালুকদার, সমাজকর্মী মো. নয়ন মিয়া, স্বপ্ন ছোঁয়ার প্রতিষ্ঠাতা মো. ইউসুফ, উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ। এছাড়া পুকুর পাড়ের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, পুকুরের পানির উপর জীবিকার নির্ভরশীল একাধিক পানি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আরো জানা গেছে, পাথরঘাটায় খাবার পানির তীব্র সংকট থাকে সব সময়। শুষ্ক মৌসুম এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বেশিরভাগ পুকুর শুকিয়ে যায়। এক কলস পানি নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন তারপরও কাক্সিক্ষত পানি পেতে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষকে। খাবার ও রান্না করার জন্য পৌরবাসীদের ভরসা ওই পুকুর। সারা বছরই ওই পানির ওপর ভরসা থাকে পৌর আবাসিক এলাকাসহ বাণিজ্যিক এলাকাগুলো। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরাও সকাল হলেই কলস, পানির বোতল নিয়ে সারিবদ্ধভাবে পানি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। এছাড়া রিকশা ভ্যানের মাধ্যমে পানি নেওয়ার জন্য মানুষ ভিড় করেন। রিজার্ভ পুকুরের ফিল্টের পানি নিতে প্রতিদিনই দেখা যায় প্রতিযোগিতা।

পাথরঘাটা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান জানান, ওই পুকুরে পানির ফিল্টার দুইটি ৮ বছর আগে পৌরসভার জনগণের জন্য করা হয়েছিল। বর্তমানে ফিল্টার ২টি পৌরসভা কর্তৃক দেখাশোনা করা হচ্ছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান জানান, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আপাতত পানি পরিস্কার করা হবে। পুকুরের মালিকানা এবং স্থায়ী ওয়াল নির্মাণের জন্য আলোচনা চলমান বলে জানান তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বরগুনার পাথরঘাটা,সুপেয় পানির অভাব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close