হামিদুর রহমান, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

  ০৩ এপ্রিল, ২০২৪

মাধবপুরে অভিযোগ

ঋণ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাইক্রো ব্যাংক নামে একটি ভুয়া এনজিওর বিরুদ্ধে। ঋণ না দিয়ে ওই এনজিওর কর্মকর্তারা শতাধিক গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

খবর পেয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার (১ ও ২ মার্চ) ভুক্তভোগীরা মাধবপুর পৌরশহরে অফিসে জড়ো হয়ে দেখেন অফিসে ঝুলছে তালা। কর্মকর্তারা ও নেই, মোবাইল ও বন্ধ। এ অবস্থায় অনেক সঞ্চয়দাতা দিশেহারা হয়ে আহাজারি করেছেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পৌরশহরের আব্দুল কুদ্দুছের বাড়ি ভাড়া নেয় মাইক্রো ব্যাংক নামে কথিত প্রতিষ্ঠান। অফিস খুলে ‘সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ লোন’ নামে কার্যক্রমের স্টিকার লাগিয়ে দেন অফিসে। ঋণ প্রদানের বিষয়ে দ্রুত প্রচারণা শুরু করে বিভিন্ন এলাকায়। মানুষকে মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেয়। এরই মধ্যে ঋণ দেওয়ার নামে প্রায় শতাধিক গ্রাহক ও জোগাড় হয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। দরিদ্র স্বল্প আয়ের মানুষ লাখ টাকার ঋণ পাওয়ার আশায় ধার দেনা করে এককালীন সঞ্চয় পরিশোধ করে দ্রুত। এখন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সব হারিয়েছেন তারা। অনেকই দিশেহারা হয়ে আহাজারি করছেন।


  • শতাধিক গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে এনজিওর কর্মকর্তারা
  • অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্মকর্তা

সোনাই আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ঝারু মিয়া জানান, সোনাই আবাসন প্রকল্পের ডলি আক্তার, আবেদা আক্তার, আনিছা খাতুন, মনোয়ারাসহ ৭ থেকে ৮জনের কাছ থেকে ঋণ দেওয়ার নামে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে সঞ্চয় আদায় করে। ভুক্তভোগী প্রত্যেককে ৭০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা ছিল।

উপজেলার ভেলাপুর গ্রামের প্রবাসী রিপন ভূইয়া জানান, ৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা সঞ্চয় জমা দিয়েছিলেন তিনি। এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ৪ কপি ছবি নেওয়া হয়।

বুল্লা গ্রামের জয়নাল মিয়ার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। তাকে সিএনজি কেনার জন্য ৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা হয়। এভাবে প্রতারক চক্র প্রায় শতাধিক লোকজনের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় ওই এনজিও।

এ বিষয়ে জানতে বাড়ির মালিক আব্দুল কুদ্দুছের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি।

মাধবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, গ্রাহকদের মধ্যে অফিস প্রাঙ্গনে উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হবিগঞ্জ,মাধবপুর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close