হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নরসুন্দা নদীতে সেতু 

৪ বছর কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদার, ভোগান্তিতে দুই উপজেলার মানুষ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে নরসুন্দা নদীর সেতুর কাজ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ কারণে বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

জানা যায়, হোসেনপুরের কাওনা এলাকায় নরসুন্ধা নদীর ওপর নির্মাণাধীন গার্ডার সেতুর কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। এলাকাবাসীর অভিযোগ চার বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষকে।

জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই কাদামাটিতে গাড়ি পিছলে নদীতে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সর্তকমূলক সাইনবোর্ড না টানিয়েই দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেতুর দু-দিকের রেলিং ও সংযোগ সড়কের কাজ ফেলে রাখায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে কথা হয় চর কাওনা এলাকার আব্দুল কাদির, মফিজ উদ্দিন, সৃজন মিয়াসহ অন্তত ২০ জনের সঙ্গে। এ সময় সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ সেতু হলো তাাদের গলার কাঁটা। সেতুর কাজ করার সময় দুপাশে কোনো সর্তকমূলক সাইন বোর্ড না থাকায় ইতোমধ্যে সংযোগ সড়কের গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় দুজন লোক মারা গেছে। অনেক লোক আহত হয়েছেন।


  • ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নরসুন্ধা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়
  • চুক্তি হয় কিশোরগঞ্জ জেলার এস আলমের সঙ্গে
  • সেতুতে ২ জনের মৃত্যু, আহত অনেকে
  • ৪ বছরে সেতুর কাজ শেষ না করায় ভোগান্তিতে দুই উপজেলার মানুষ

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৩৭৮০ মিটার চেইনেজে ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য ২০২১ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার এইচ/এন-৪৬৪, পুনাম পেলস্, এইচটিবিএল সার্চের (জেবেকা) সঙ্গে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়কের নরসুন্ধা নদের ওপর কাওনা এলাকায় সেতুটি নির্মাণের চুক্তি হয়। এতে সাব-কন্টাক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয় কিশোরগঞ্জ জেলার এস আলমের সঙ্গে। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ মের মধ্যে। কিন্তু সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে বার বার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে সেতুর কাজ শেষ করছে না।

হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশলী গালীব মুরশীদ, জন দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, কয়েক দফা কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলেও এখনো কাজ শেষ না হওয়ায় তারা বিপাকে রয়েছেন। এ পর্যন্ত সেতুর ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বাকি রয়েছে। এসব অনিয়মের জন্য ঠিকাদারকে কাজ বাতিল করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ না করে তাহলে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ বাতিল করার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কিশোরগঞ্জ,হোসেনপুর,নরসুন্ধা নদী,সেতু
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close