রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পানি সেচ না দেওয়ায় আলু খেত নষ্টের অভিযোগ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

নওগাঁর রাণীনগরে জমিতে পানি সেচ না দিয়ে আলু খেত নষ্টের অভিযোগ ওঠেছে গভীর নলকূপ অপারেটর মোজাম্মেল মোল্লার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলা সেচ কমিটি এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই কৃষকের জমিতে সেচ দিলেও গত দুই বছরেও এনামুল টাকা দেয়নি জানায় মোজাম্মেল মোল্লার ছেলে।

উপজেলার মধুপুর গ্রামের কৃষক এনামুল হক অভিযোগ করে জানান, চলতি মৌসুমে গ্রামের পশ্চিম মাঠে বিএমডিএর গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৬ শতক জমিতে আলু রোপন করেছেন তিনি। জমিতে আলু রোপনের পর থেকে একই মাঠে সকল কৃষকের জমিতে পানি সেচ দিলেও তার জমিতে এক ফোটা পানিও সেচ দেয়নি নলকূপের অপারেটর একই গ্রামের মোজাম্মেল মোল্লা। এতে পানির অভাবে খেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, জমিতে পানি সেচ না দেওয়ায় স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য লোকজন নিয়ে বসেছিলেন। সেখানে পানি সেচের জন্য ১৫০০ টাকা মিটমাট হলেও পরে আর পানি দেয়নি। ফলে খেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পরে রবিবার বিকেলে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় মেম্বার হেলাল উদ্দীন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করেছিলাম। কিন্তু উভয় পক্ষের রাগের কারণে পরে তা ভেস্তে গেছে।

গভীর নলকূপের অপারেটর মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় তার ছেলে আব্দুল মমিন মোল্লা বলেন, ধানের জমিতে পানি সেচ দিয়ে গত দুই বছরেও এনামুল কোনো টাকা দেয়নি। তার জমিতে পানি সেচ ও জমিতে চাষ বাবদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা পাওনা রয়েছি আমরা। টাকা চাইলে নানা টালবাহনা করেন। তাই আমরা জমিতে পানি সেচ দিইনি।

রাণীনগর উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ইমানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাণীনগর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নওগাঁর রাণীনগর,,খেত নষ্ট,,আলু খেত নষ্ট,
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close