এসএম ইসাহক আলী রাজু, গুরুদাসপুর (নাটোর)

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২২

কালভার্ট ভেঙে ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের আনন্দ নগর মহল্লায় একটি রাস্তার বক্স কালভার্টের স্লাবের অর্ধেক অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন ৬ গ্রামের সাধারণ মানুষ। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় ঝুকিপূর্ণ ওই কালভার্ট দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সরোজমিনে দেখা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আনন্দ নগর মহল্লার সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের উত্তর দিকে আব্দুল মতিনের বাড়ির সামনে হ্যারিংবন্ড রাস্তায় একটি কালভার্টের উপরের স্লাব ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মাটির বস্তা ফেলে এর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত কালভার্টটি দিয়ে বাঘমারা বিলের পানি প্রবাহের একমাত্র মাধ্যম ও অন্তত ৬ গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেয়ার রাস্তা। কালভার্টের স্লাব ভেঙে পড়ায় আনন্দনগর, কালাকান্দর, খুবজীপুর, খলিফাপাড়া গ্রামের কৃষক ও শ্রমিকরা তাদের মাঠের জমির ফসল উৎপাদন ও ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

গুরুদাসপুর পৌর সদরের কালাকান্দর গ্রামের কৃষক মোঃ মোবারক হোসেন জানান, বাঘমারা, বাহান্ন বিঘা, লজরের খাপালসহ ৫/৬টি মাঠের অন্তত ২ হাজার বিঘা জমির উৎপাদিত ফসল ওই পথেই আনা-নেয়া করা হয়। কালভার্টটি ভাঙা থাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। জমি চাষ, ট্রাক্টর, ট্রলি, সেচযন্ত্র পরিবহন এমনকি হাঁটা-চলায়ও বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কৃষক ও শ্রমিকদের।

আনন্দ নগর মহল্লার কৃষক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, দু বছর আগে পুকুর খননের মাটি বহনের অভারলোড ট্রাকের কারনে কালভার্টটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা সংস্কার করে দেবার কথা বলে তা না করেই চলে গেছে। এছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে স্কুলগামী শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর পৌর মেয়র মোঃ শাহনেওয়াজ আলী মোল্লা বলেন, কালভার্টের দুরবস্থার কথা শুনে পৌর প্রকৌশলীকে সরেজমিনে পাঠানো হয়। জায়গাটি তিনি পরিদর্শন করেছেন। আগামী টেন্ডারে এটিকে সংস্কার কাজের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
গুরুদাসপুর,নাটোর,বক্স কালভার্ট,কৃষক-শ্রমিক,দুর্ভোগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close