পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রযুক্তি বাংলাদেশের নারী-পুরুষ সবার আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের যেসব নারী বাইরে কাজ করতে গিয়ে পরিবারের বাধার মুখে পড়েন, তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করে নারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ আত্মকর্মসংস্থানের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

গতকাল শনিবার খাগড়াছড়ির অফিসার্স ক্লাবের অডিটোরিয়ামে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের “হার পাওয়ার প্রজেক্ট”-এর প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে ৭৫ জন নারী উপকারভোগীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি-সহাবস্থান নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। খাগড়াছড়ি তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ই-কমার্স প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে ৩ উপজেলার ২৫ জন করে মোট ৭৫ জন নারীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, সদর উপজেলার ইউএনও নাঈমা ইসলাম, মাটিরাঙ্গার ইউএনওডেজী চক্রবর্তী ও দীঘিনালার ইউএনও মো. মামুনুর রশীদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হার পাওয়ার উপ-প্রকল্প পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার উপকারভোগী তেজশ্রী চাকমা।

উল্লেখ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দেশের ৪৪টি জেলার মধ্যে মোট ১৩০টি উপজেলায় তথ্য প্রযুক্তিতে নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে পাঁচ মাস প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙ্গা ও দিঘীনালা এই তিনউপজেলায় নারীদের জন্য নারী ই-কমার্স প্রফেশনাল, নারী ফ্রিল্যান্সার, নারী কলসেন্টার এজেন্ট ও নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ই-কমার্স প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে ৩ উপজেলায় ২৫ জন করে মোট ৭৫ জন নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। দিঘীনালা উপজেলা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা প্রতিটি উপজেলা থেকে ১৮৫ জন করে মোট ৫৫৫ জন নারী চার ক্যাটাগরিতে পাঁচ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পাচ্ছে।

"