দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ঢাকার সড়ক ছিল ফাঁকা। রাস্তায় হাতে গোনা কিছু যানবাহন চলাচল করেছে। কিন্তু এ অবস্থার মধ্যেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল। গতকাল রবিবার দুপুর ১টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৭। এ স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে ধরা হয়। শনিবার স্কোর অনুযায়ী ঢাকার বাতাস ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর।

দুপুর ১টায় বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি ও চীনের উহান। এ দুই শহরের স্কোর যথাক্রমে ২১৭ ও ১৯৪। তৃতীয় স্থানে চীনের আরেক শহর হাংঝু। এ শহরের স্কোর ১৯০।

বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আইকিউএয়ারের দেওয়া তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদ-ের চেয়ে ২৫ গুণের বেশি। বাতাসের এ অবস্থা থাকায় সবার জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। আইকিউএয়ারের মানদ- অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

"