কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
কাউখালীতে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ, পাশে ছিল চিরকুট
পিরোজপুরের কাউখালীতে চিরকুট লিখে রেখে মোসা. মুমু আক্তার (১১) নামে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের ধারনা অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার গান্ডতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুমু আক্তার জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালীর মাসুম মোল্লার মেয়ে। মুমু তার মায়ের সঙ্গে গান্ডতা গ্রামে নানা বাড়িতে বসবাস করত।
নিহত মুমুর নানা হেমায়েত সরদার জানান, তার মেয়ের ঘরের ছোট নাতী অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে মেয়ে শনিবার রাতে হাসপাতালে ছিল। ওই দিন রাতে বড় নাতি মুমু বাড়িতে ছিল। সে রাতের খাবার খেয়ে তার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। তিনি রাত সাড়ে বারোটার সে ঘুমিয়েছে কি না তা দেখার জন্য তার ঘরে গিয়ে দিখি সে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় মুমুকে নামিয়ে থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ রাতে লাশ থানায় নিয়ে যায়। নাতী একটু কালো ছিল তাই আত্মীয়-স্বজন ও তার বন্ধু মহল তাকে কালীতারা বলে সব সময় ডাকতো। এই কারণে সে সব সময়ই মন খারাপ করে থাকত। তাকে কালীতারা বলে ডাকায় সে হয়ত আত্মহত্যা করেছে।
নিহত মুমুর মা হেলেনা আক্তার কলি জানান, তার ছোট মেয়ে অসুস্থ থাকায় শনিবার রাতে তিনি তাকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। রাতে মুমুর আত্মহত্যার খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে আসেন।
আত্মহত্যার পূর্বে মুমু একটি চিরকুট রেখে গেছে। তাতে কী লেখা রয়েছে তিনি জানেন না। সেটি পড়ার আগেই পুলিশ নিয়ে গেছেন।
কাউখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ রাতে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। কী লেখা রয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
"