তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে, বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
তেলের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট পালিয়ে গেছে, তাই আপনারা প্রভাবটা সেভাবে টের পাচ্ছেন না। আর আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধংস করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করা হয়েছে টিসিবিকে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘প্রাইজ গিভিং সিরিমনি অব ইআরএফ-প্রাণ ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গত সরকার প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। পাচারের জন্য নিয়ামক হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) একটি। টিসিবির সারাদেশের অফিস ১৬টি, যেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মাত্র ১৪২ জন। এ ১৪২ জনের জন্য বরাদ্দ সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে সরকার ভর্তুকি দেয় চার হাজার কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে যে ক্ষতিটা আমাদের হয়েছে তা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এটা আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শ্বেতপত্রের তথ্য উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটি দেড় বছরের জাতীয় আয়কে একত্রিত করলে তার সমান হয়।’
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘গুটিকয়েক মানুষ অর্থ চুরি করে নিয়ে গেছেন। এটা অবশ্যই নাগরিক হিসেবে আমাদের জন্য অসম্ভব চিন্তার বিষয়। এ ধরনের সাগর চুরি করতে গিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।’
ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাম মীরধার সভাপতিত্বে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কার্যনির্বাহী সদস্যরা, অ্যাওয়ার্ডের বিচারক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে পাঁচজন, অনলাইনে দুইজন এবং টেলিভিশন ক্যাটাগরি থেকে তিনজন পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রিন্ট ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার জিয়াদুল ইসলাম ও সময়ের আলো'র বিজনেস এডিটর আলমগীর হোসেন। এ ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের দুই বিশেষ প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন হারুন ও এফএইচএম হুমায়ূন কবির। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন জাগোনিউজ২৪.কম এর চিফ রিপোর্টার ইব্রাহিম হোসেন অভি এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদ হোসেন পাপন এবং দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে একুশে টিভির সিনিয়র রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হরিপদ সাহা।