প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
আগুনে পুড়ল কারখানা দোকান ও বসতঘর
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে একটি কারাখানা, শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ৬টি দোকান, নোয়াখালী বেগমগঞ্জে ১৫টি দোকান ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ৫টি বসতঘর পুড়ে গেছে। গতকাল শনিবার সকালে ও শুক্রবার রাতে পৃথক স্থানে এ সব ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট প্রতিনিধি জানান, গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার লালচান্দ চা বাগানের কারখানায় আগুনে প্যাকিং গুদামে মজুদ চা পাতা, মেশিনসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম পুড়ে নষ্ট হয়।
চুনারুঘাট ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখে লালচান্দ চা বাগান কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
চুনারুঘাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা বিজয় সিংহ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। কারখানার মজুদ চা পাতা, বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, গতকাল শনিবার ভোরে উপজেলার নড়িয়া বাজারের বড় সেতু এলাকায় ৬টি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরের দিকে ওই এলাকার ব্যাটারির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নেভায়। এর মধ্যে মাহবুব আলমের ব্যাটারির দোকান, আক্তার হোসেনের ওষুধের দোকান, ইদ্রিস আলীর ফার্নিচারের দোকান, বাবুল শেখের এসি ফ্রিজ মেরামতের দোকান, নাসির শেখের থাই ও অ্যালুমিনিয়ামের দোকান এবং হিরণ মোল্লার ফ্লেক্সি লোডের দোকানের মালামাল পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ফার্মেসী ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার ওষুধের দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।’
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ব্যাটারির দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, বেগমগঞ্জের একটি মার্কেটে আগুন লেগে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার রাতে চৌমুহনী বাজারের রেলগেট এলাকার আজিজ মাকের্টে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে চৌমুহনী, মাইজদী, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, এতে প্রায় ১৫-২০টি দোকান পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল শনিবার ভোরে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল আলীম সিকদার পাড়ায় ৫ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ওসমান গনি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা হলো ওই এলাকার মকবুল আহমদ, মো. ইউনুচ, মাহবুবুর রহমান, ইলিয়াছ ও নজরুল ইসলাম।
ইউপি সদস্য মো. ওসমান গনি জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লেগে ৫ পরিবারের বসতঘর পুড়ে গেছে। লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রধান রাখাল চন্দ্র রুদ্র জানান, আগুনের সুত্রপাত জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তরা একজন-আরেকজনকে দোষ দিচ্ছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"