সমবায়ের সম্ভাবনার সুযোগ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল। এ শক্তি কাজে লাগাতে পারলে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো আরো কার্যকর করতে হলে সমবায় আইন ও বিধি যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

গতকাল সোমবার রাজধানীতে সমবায় অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সমবায়ের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। গণমুখী সমবায় আন্দোলনকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন- যাতে মানুষ উন্নত জীবন পায়। বঙ্গবন্ধু সমবায়ের মাধ্যমে সমাজের যে পরিমাণ পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, তা তার সাড়ে তিন বছর সময়কালে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সমবায় শক্তি কাজে লাগাতে পারলে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘সমবায় যেহেতু আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তাই যেকোনো অব্যবস্থাপনা এ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। তাই সমবায়কে শক্তিশালী করতে হলে যুগোপযোগী আইন তৈরি করে তা কার্যকর করতে হবে। সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে চালানোর জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকতে হবে।’ এজন্য সমবায় সমিতিগুলোর নিবন্ধন দান ও তাদের বার্ষিক নিরীক্ষা কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সমবায় সম্পর্কে মানুষের মনে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতে হবে- যাতে মানুষ সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়, তার অর্থনৈতিক উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। ভালো সাংগঠনিক নেতৃত্বওয়ালা মানুষই পারবে গ্রামের মানুষকে একত্রিত করে সমবায়ের মাধ্যমে নিজেদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে।’ এ সময় সমবায় নেতৃত্ব তৈরিতে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। মতবিনিময় সভার শুরুতে মন্ত্রীকে সমবায় অধিদপ্তরের কার্যক্রম, সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বিস্তারিত অবহিত করা হয়।

"