আদালত প্রতিবেদক
খালেদার সাজা কেন বাড়বে না : হাইকোর্ট
চ্যারিটেবল মামলায় জামিন বাড়ল
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক
রিভিশন আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই রুল দেন। রাষ্ট্র ও খালেদা জিয়াকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে হবে। এদিকে খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন বাড়িয়েছেন আদালত। গতকাল পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত বিশেষ জজ ৫ নম্বর আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, এদিন খালেদা জিয়াকে হাজির করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ হাজির করেননি। পরে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আদালতে আবেদন করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আগামী ৫ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় আদালত আদেশে বলেছেন, দুদক আইনে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে এ ধরনের রিভিশন বা আপিল দুর্নীতি দমন কমিশন করতে পারে কি না; সে বিষয়টি আলোচনা ও ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
আদালতে দুদকের রিভিশন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, মওদুদ আহমদ ও জয়নুল আবেদীন।
আদালতে আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। এর আগে গত ২৫ মার্চ দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। তবে মামলার অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদ- দেন আদালত। খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বাড়াতেই এই আপিল করে দুদক। বিশেষ জজ আদালতের ওই রায়ের পর থেকে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
"