সোহরাব পাশা
নির্জন ছায়ার শব্দ
এক অলৌকিক স্টেশনে দাঁড়ান একাকী দুজন
এক দিন জোছনায় ভিজে ছিলে খুব
অনিদ্রার রাত ছিল বৃষ্টির কবিতা
হৃৎপি-ে প্রতিধ্বনি হতো নির্জন ছায়ার শব্দ
অর্থহীন অপ্রয়োজনীয় কথার বিখ্যাত অর্থ ছিল শুধু
দীর্ঘ সান্নিধ্যের সময়ের হাত ধরে নিবিড় বসে থাকার
প্রতিদিন অনিবার্য পাঠ হতো অসমাপ্ত পুরোনো গল্পের
অন্য এক শোভন অনিন্দ্য সংস্করণ
অজস্র রাত্রির কুয়াশায় ঢেকে গেছে সেসব
দীর্ঘশ্বাসের গোপন ইতিহাস
এতকাল পরে বেলাশেষে আত্মপ্রকৃতির পাশে
হেসে ওঠে সেই রঙিন বিহ্বল মুখ, জানালার খোলাচুল,
দেহের সুতীব্র ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে ওঠে সন্ধ্যের বাতাস
এখন তো ঘর থেকে দেখতে হয় পুরো পৃথিবী-
তরুতলে কে যায় কে আসে
বিকেলে আড্ডার সেই প্রিয় মুখ কোন দশকে কে
দাঁড়িয়ে আছে কে ঘুমিয়ে পড়েছে মৃত্যুর মতন
এসব তো এখন স্মৃতি ও কল্পনার অস্পষ্ট অনুবাদ
সময়ের প্রান্তর থেকে মুছে যাবে এসব স্মৃতির শিশির
জীবন মানেই তো অনন্ত শূন্যতার দীর্ঘ ভিড়
"