আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পরমাণু আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নিয়ে সন্দিহান রাশিয়া
রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনো ‘পূর্বশর্ত’ ছাড়াই পারমাণবিক আলোচনায় বসতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহকে সন্দেহের চোখে দেখছে রাশিয়া। নিউজ আউটলেট ‘আর্গুমেন্টি আই ফ্যাক্টি’কে গতকাল সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। খবর রয়টার্সের।
সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ‘কোনো শর্ত ছাড়াই কৌশলগত স্থিতিশীলতা ও পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা ধাপ্পাবাজি ছাড়া কিছু নয়।’
এই বছর শান্তিতে নোবেলজয়ী জাপানি সংস্থা নিহোন হিদানকিয়োর উদ্দেশে ওয়াশিংটনের আহ্বানের প্রেক্ষাপটে এসব কথা বলেছেন লাভরভ। ওই বার্তায় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, পারমাণবিক হুমকি হ্রাস করতে রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়াদের নিয়ে কাজ করে নিহোন হিদানকিয়ো। বিশ্ব থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দূর করা সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য।
লাভরভ আরো বলেছেন, ‘কোনো “শর্ত ছাড়া” বলতে আসলে তারা কি বোঝাচ্ছে বলে মনে করেন? এর মানে হচ্ছে আমাদের লিখিতভাবে শত্রু ঘোষণা করার অধিকার হোয়াইট হাউস নিজের পকেটে রেখে দিয়েছে।’
১৯৬২ সালে কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের পর ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্রে করে হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের মধ্যে রেষারেষি আবার চরমে উঠেছে। ইউক্রেনে নিজেদের কার্যকলাপকে বিশেষ সামরিক অভিযান বলে আখ্যায়িত করে থাকে মস্কো। এদিকে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড হচ্ছে ভূমি দখলের জন্য সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন।
প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধ এখন সবচেয়ে সংবেদনশীল ধাপে অবস্থান করছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ আগ্রাসনের মাত্রা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এদিকে রাশিয়ার গভীরে দূরপাল্লার পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের হামলা করা নিয়েও যথেষ্ট জল্পনা কল্পনা চলছে।
"