আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা-লেবাননে হামলায় এক দিনে নিহত ১০১
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে সমানতালে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক দিনে গাজা ও লেবাননে নিহত হয়েছে ১০১ জন। খবর আল-জাজিরার।
গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার গাজা জুড়ে অন্তত ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০০ জনের বেশি নারী-পুরুষ ও শিশু।
গাজায় মঙ্গলবার নিহতদের মধ্যে আবু তামিয়া পরিবারের ১০ জন সদস্য রয়েছে। গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে আবু তামিয়া পরিবারটির বাস ছিল। ইসরায়েলি হামলায় গত এক বছরে বেশ কয়েকবার স্থানান্তরের শিকার হয়েছে উদ্বাস্তু পরিবারটি।
গাজার কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৩৪৪ জন নিহত এবং ৯৯ হাজার ১৩ জন মানুষ আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে লেবানন জুড়ে একের পর এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় মঙ্গলবার এক দিনে ৪০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। আহত হয়েছে আরো ১০০ জনের বেশি।
নিহতদের মধ্যে লেবাননের গ্রাম কানায় ১০ জন এবং রিয়াক শহরে একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বোমায় কমপক্ষে ৮ জন রয়েছেন।
দক্ষিণ লেবাননে টায়ার শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের কানা শহরে ইসরায়েলি বিমান মঙ্গলবার নতুন করে বোমা হামলা চালায়।
এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর এক নেতা নাইম কাসেম টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উত্তর ইসরায়েলে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের
ফিরে আসার সমাধান হলো লেবানন ও গাজায় যুদ্ধবিরতি।
"