ঈদে ডিএমপি ট্রাফিকের যেসব নির্দেশনা মানতে হবে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ পবিত্র ঈদুল ফিতরে মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে ২১টি নির্দেশনা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ঈদ যাত্রার প্রস্তুতি সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. টার্মিনালের ভেতর থেকে বাসে যাত্রীদের উঠা-নামানোর কাজ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টার্মিনাল থেকে বের হয়ে সড়কে পার্কিং করে বাসে যাত্রী উঠা-নামানো যাবে না ।
২. গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না। বিশেষ করে ছাদে কোনো যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করবেন না ।
৩. দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলো মহানগরীর মধ্যে যাত্রী উঠা-নামার কাজ করবে না।
৪. যাত্রার শুরুতে যাত্রীদের নিজ নিজ মালামাল নিরাপদে রাখার জন্য আহ্বান ডিএমপির।
৫. যাত্রাকালে যাত্রীদের অপরিচিত কোনো ব্যক্তির দেওয়া খাবার গ্রহণ না করার আহ্বান।
৬. মোটরসাইকেলে দূরপাল্লার যাত্রীদের অবশ্যই যাত্রাকালীন হেলমেট পরতে হবে।
৭. ঝুঁকি পরিহার করার জন্য মোটরসাইকেল যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল বহন না করা জন্য আহ্বান ডিএমপির।
৮. দূরপাল্লার যাত্রার ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে দুইয়ের অধিক যাত্রী না উঠার আহ্বান।
৯. যারা নিজস্ব গাড়িতে বা মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার যাত্রায় অংশীদার হবেন তাঁরা নিজ নিজ মালিকানাধীন যানবাহনের ফিটনেসের বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
১০. যাত্রাকালে নিজ নিজ ব্যক্তি মালিকানাধীন যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই যানবাহনের সঙ্গে থাকতে হবে।
১১. গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও ফিটনেসের বিষয়টি মালিক/শ্রমিকরা নিশ্চিত করবেন এবং তা অবশ্যই যানবাহনের সঙ্গে রাখতে হবে।
১২. অনেক সময় টার্মিনালের ঠিক বাইরে সড়কে, বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে, খালি ট্রাক/পিকআপে যাত্রী বোঝাই করে দূরপাল্লার যাত্রা পরিহার করা জরুরি।
১৩. নগরবাসী এবং বাসমালিকদের কাছে অনুরোধ, যানবাহনের চালক যেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং অসুস্থ না থাকেন সে বিষয়টি বিশেষভাবে নজর দেওয়া।
১৪. চালকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ, ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালাবেন না। কেননা তা নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
১৫. ঈদের শুরুতে দেখা যায়, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ছুটি হলে লাখ লাখ শ্রমিকের বাড়ি ফেরার সুযোগ নিয়ে অনেক ফিটনেসবিহীন গাড়ি অযাচিতভাবে সড়কে, মহাসড়কে নামানোর প্রয়াস চালানো হয়। এতে যানজট সৃষ্টি হয়, আবার দূর-দূরান্তে যাত্রাপথকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। তাই দূরপাল্লার এবং সিটিং সার্ভিসের বিভিন্ন রুটের গণপরিবহনের মালিকদের এ বিষয়ে সতর্ক থেকে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
১৬. যে সব যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারটি যেন মেয়াদোত্তীর্ণ/ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে সে বিষয়টি যাত্রা শুরুর আগে নিশ্চিত হতে হবে।
১৭. বাস যাত্রীদের বাসের অপেক্ষায় টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কে দাঁড়িয়ে না থেকে সপরিবারে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করবে।
১৮. লঞ্চ টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর কেন্দ্রিক যাত্রীদের গমনাগমন সুষ্ঠু করতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট থাকবে।
১৯. রমজানের শেষপ্রান্তে বিভিন্ন মার্কেট কেন্দ্রিক ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে পার্কিং এর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। মার্কেটের আশেপাশে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার নিশ্চিত কতে আসা যানবাহনের চালকদের মার্কেট সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
২০. মার্কেট কেন্দ্রিক পথচারী/ক্রেতা-বিক্রেতাদের সড়ক পারাপারের ক্ষেত্রে ফুটওভার ব্রিজ/জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।
২১. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ/বাহির পথে যানবাহন চলাচল সুষ্ঠু স্বাভাবিক রাখতে পার্শ্ববর্তী সব পুলিশ ইউনিটের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করা হবে।