টানা দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন মো. তাজুল ইসলাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিলেন মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয় এসে পৌঁছালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুলেল সংবর্ধনা দিয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে আসেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তরের দপ্তর প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করার পর গণমাধ্যমের সাথে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে টানা দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পগুলো গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে, এছাড়াও সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের কর্মপরিকল্পনা দরকার তা করা হবে।
এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। স্বাগত বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে মো. তাজুল ইসলাম স্যারকে আমাদের মাঝে পেয়েছি। বিগত সময়ের মতো ভবিষ্যতেও তিনি তার সুদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের অভিবাদন গ্রহণ করে বলেন, আপনাদের সাথে পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরো সুন্দর এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে কাজ করলে তা সবার জন্য কল্যাণকর হবে। যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে একটি ইশতেহার দিয়েছে এবং জনগণ সেজন্য নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে, তাই সে ইশতেহার অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে আমাদের ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে। অতীতের মত সামনের দিনগুলোতেও মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব অধিদপ্তর দেশ ও মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা বলে ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত ৫ বছর এই মন্ত্রণালয় পরিচালনার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সম্মৃদ্ধ করেছে, আমাদের সকল প্রতিষ্ঠান যার যার জায়গা থেকে কাজ করলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। এ সময় গৃহীত প্রতিটি প্রোজেক্টের কোয়ালিটি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আহবান জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দুপুরের পর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমসহ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অধীন সকল দপ্তর প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দপ্তরগুলো পরিচালনে সমবায় সমিতি আইন যুগোপযোগী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সমবায় বিভাগের সকল দপ্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।