reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ মার্চ, ২০২৪

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কলা ভালো নাকি খারাপ

ছবি : সংগৃহীত

বহুমূত্ররোগ বা ডায়াবেটিস (যা ডায়াবেটিস মেলাইটাস নামেও পরিচিত) হলো একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা যেটি ঘটে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘসময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কারণ হয় শরীর যথেষ্ট পরিমাণে বা কোনো ইনসুলিন উৎপাদন করে না অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না। এই রোগ হলে সাধারণত খাবার বিষয়ে খুব সচেতন থাকতে হয়।

ডায়াবেটিস রোগীরা কী খেতে পারেন আর কী খেতে পারেন না, তার অনেকটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট খাবারটি রক্তে শর্করার মাত্রার উপর কতটা প্রভাব ফেলে, তার উপর। এই বিষয়টি সাধারণত ‘গ্লাইসেমিক লোড’ ও ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ -এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় বলে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮।

টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগীদের এমন খাবার খেতে হয়, যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, সেসব খাবার ধীরে ধীরে শরীরে শোষিত হয় এবং দ্রুত ব্লাডসুগার না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে। এইদিক থেকে দেখতে গেলে কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থেকে মাঝারি, ৪২-৬২-র মধ্যে।

কাঁচা কলা খাওয়া যেতেই পারে, কারণ এটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। কাঁচা কলায় থাকে ‘রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ যা ক্ষুদ্রান্ত্রে দ্রুত পাচিত হয় না। উলটে নিয়ন্ত্রণে থাকে শর্করার বিপাক। পাশাপাশি পেটের সমস্যায় উপকারী কাঁচা কলা।

পাকা কলাতে থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬। কিন্তু পাকা কলাতে কিছু প্রাকৃতিক ‘সুইটনার’ থাকে। এই কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স-ও কাঁচা কলার থেকে বেশি। তাই এই ধরনের কলা খাওয়ার আগে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

কলা যখন বেশি পেকে যায় ও কিছুটা খয়েরি রঙের হয়ে যায়, তখন তা ডায়াবিটিস রোগীদের খাওয়া উচিত নয়। এর ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ অনেক বেশি। এই ধরনের কলায় স্টার্চ ভেঙে সরল শর্করাতে রূপান্তরিত হয়, যা খুব সহজেই বিপাক হয়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ডায়াবেটিস রোগী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close