ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেধাবৃত্তি খাতে বরাদ্দ ১২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা
বিএসএমএমইউতে বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪.৪৫%
পেনশন মঞ্জুরি খাতে বরাদ্দ ৪৭ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৫৪ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। গত বছর এই বাজেটের পরিমাণ ছিল ৭৮৪ কোটি ২০ লাখ। এ বছর বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে ২৭০ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ৩৪.৪৫ শতাংশ। বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২৬৪ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় এই বাজেট অনুমোদিত হয়। সিন্ডিকেট সভায় বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান উপস্থাপিত বাজেটে জানানো হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য গবেষণা খাতে ৩০ কোটি ৭০ লাখ এবং প্রশিক্ষণ খাতে ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে চিকিৎসা ও শৈল্য খাতে (এমএসআর) বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেধাবৃত্তি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বাজেটে পূর্ত সংরক্ষণে ১৮ কোটি ৪০ লাখ, পণ্য সেবার উপ খাতগুলোতে ৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার, যন্ত্রাংশ (মূলধন) উপ খাতে ৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বেতন বাবদ ২৭৫ কোটি ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ভাতা বাবদ ২১৩ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং পেনশন মঞ্জুরি খাতে ৪৭ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে এ বছর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ হতে সম্ভাব্য প্রাপ্য বরাদ্দের পরিমাণ ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) থেকে ২৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা।
বাজেট উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণা এই তিন ক্ষেত্রকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। চাহিদার তুলনায় বাজেট প্রাপ্তির স্বল্পতা থাকলেও এই প্রাপ্ত বাজেট এবং নিজস্ব আয় দিয়ে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী চিকিৎসাসেবা, গুণগত স্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বমানের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন হলো ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করা। এই স্বপ্ন পূরণে দেশের ক্রমবর্ধমান জনগণকে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দিকে লক্ষ্য রেখে এবারের বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি তার বক্তব্যে বিনামূল্যে জন্মগত শিশু হৃদরোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দরিদ্র রোগীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান, অটোমেশন কার্যকম, গবেষণার জন্য জেনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা, অনলাইনে রিপোর্ট প্রদানসহ ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) ও বিভিন্ন বিভাগের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম তুলে ধরেন।