reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘অড়হর’ ডাল খাওয়া যাদের জন্য ক্ষতিকর

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গ ছাড়াও অড়হর ডাল বোম্বাই, মাদ্রাজ, যুক্তপ্রদেশ, মায়ানমার, মধ্যভারত, ও আসামে চাষ হয়। এই ডাল জন্ডিস রোগের ঔষধ হিসাবে এর পাতার রস ২/৩ চামচ একটু লবণ দিয়ে হালকা গরম করে খেতে হয়। এর পাতা খেলে অরুচি দূর হয়। জিহ্বার ক্ষত দূর করার জন্য এর পাতা বেশ উপকারী।

এর ডাল প্রোটিনের অন্যতম দারুণ উৎস। যারা নিরামিষ খেতে পছন্দ করেন, তারা নিয়মিতই ভাত বা রুটির সঙ্গে ডাল খান। ভাতের সঙ্গে অড়হর ডালও খাওয়া হয়। ভাল স্বাদের জন্য মসুর ডালের সঙ্গে রুটি ও ভাত খাওয়া হয়। মুগ ডালও অত্যন্ত গুণের। কিন্তু অড়হর ডালের গুণ থাকলেও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮।

মসুর ডাল প্রোটিন এবং ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ। কম কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না। তাই এটা বোঝা সহজ। কিন্তু খুব বেশি অড়হর ডাল খেলে বদহজম হতে পারে, হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী হজমের সমস্যা। ফলে অনেকেরই এই ডাল খাওয়া সুবিধাজনক নাও হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক এর অপকারিতার দিকগুলো।

হজমের সমস্যা

অড়হর ডাল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে, বিশেষ করে রাতে খেলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে উচ্চ ফাইবার উপাদান মজুদ থাকার কারণে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। ফলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। তাই দিনের বেলায় এই ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কারণ দিনের বেলায় শরীরের পরিপাকতন্ত্র খুবই সক্রিয় থাকে, পুষ্টি উপাদান ভালভাবে ভেঙে যায় এবং শরীর দ্বারা সঠিকভাবে শোষিত হয়। যারা নিয়মিত ডাল খাওয়ার অভ্যাস করেন তারা যেন এই ডাল অল্প পরিমাণে খান।

ইউরিক অ্যাসিড

সাধারণত ডাল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায় না। তবে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাল খাওয়ার সময়ে সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা পিউরিন ইনটলারেন্স আছে, তাদের এ বিষয়ে ভাবনা থাকা উচিত। ডালে উপস্থিত একটি যৌগ এই পিউরিন। ফলে খাওয়ার সময় এটা দেখে নেওয়া উচিত। কারণ বেশি ডাল মানে তাদের মধ্যে মেটাবোলাইজড ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। ফলে দেখা দিতে পারে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা।

গবেষণার তথ্যমতে, যে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল কিডনিতে পাথর তৈরির দিকে ঠেলে দিতে পারে। এগুলোর ফলে চরম ব্যথার কারণ হয়। এটি বর্জ্য নিষ্পত্তিকেও ব্লক করতে পারে। এটি সংক্রমণ এবং কিডনি ব্যর্থতার কারণ হতে পারে।

হাইপারক্যালেমিয়া

ডালে পটাশিয়াম থাকে। খাবারে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি হলে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এই অবস্থা প্লাজমা পটাসিয়াম মাত্রা বৃদ্ধি করে। হালকা হাইপারক্যালেমিয়া লক্ষণ দেখাতে পারে না। কিন্তু গুরুতর হলে এটি বিপজ্জনক কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস, পেশী দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত হতে পারে। হাইপারক্যালেমিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে বমি, ক্লান্তি, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন এবং শ্বাসকষ্ট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই উপসর্গগুলো বিশেষ করে যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য সঠিক নয়।

পাইলস

পাইলস আক্রান্ত ব্যক্তিরা অড়হর ডাল বেশি খেলে অবস্থা আরও খারাপ হবে। উচ্চ প্রোটিন উপাদান হজম করার জন্য একটি শক্তিশালী পাচনতন্ত্রের প্রয়োজন। প্রসারণ প্রভাব কার্যকর না হলে, কোষ্ঠকাঠিন্য আর অসুবিধা তৈরি করবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
‘অড়হর’ ডাল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close