মুখে ঘা হলে করণীয়
মুখের ঘা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এই সমস্যা মানুষকে অনেক ভোগায়। বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। আর যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা জানেন সমস্যা কতটা গভীরে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই রোগটি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
এই রোগ যাদের হয় তাদের মুখের ভিতরে খুব জ্বালা করে। খেতে অসুবিধা হয়। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে জায়গাটা কিছুটা ফুলে যেতে পারে। কিছু খাওয়া যায় না। খেলেই জ্বালা করে, ব্যথা করে।
তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন। তেমনই ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-
মধু
ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসি পাতা
মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
লবণ পানি
মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার দুর্দান্ত এক ঘরোয়া উপায় হলো লবণ পানিতে গার্গল করা। মুখের ঘা সারাতেও লবণ পানি কার্যকরী।
এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন।
মুখে ঘা হলে যে নিয়ম অনুসরণ করা জরুরি-
• দাঁত ব্রাশ করার পরে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করা। কারণ এর মধ্যেমে ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয় ও মুখের হাইজিন বজায় থাকে।
•লেবু, আনারস, টমেটো, কমলা বা এই ধরণের এসিডিক খাবার না খাওয়া, এগুলো ব্যথা বাড়ায়।
• ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা, আম, স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দই ইত্যাদি খাওয়া।
• শক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন, এগুলো মুখের ক্ষত বাড়িয়ে দিতে পারে।
• নরম ব্রিসলযুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন।
• ঠান্ডা তরল পান করুন বা শীতল কিছু যেমন এক টুকরা আইস মুখে নিয়ে চুষতে পারেন।
• প্রচুর পরিমান পানি পান করুন।
• গরম পানিতে লবণ ও বেকিং সোডা মিশিয়ে গার্গল করুন।
• অ্যালকোহল বা তামাক ও তামকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন, এগুলোও জ্বালা বাড়াতে পারে।