হার্টের ভালভ ব্লক হয়েছে বুঝবেন কীভাবে?
হার্টের ভালভ রোগ হল এমন একটি অবস্থা যেখানে এক বা একাধিক হার্টের ভালভ প্রত্যাশিতভাবে কাজ করছে। মানুষের হৃৎপিণ্ডে চারটি ভালভ থাকে যা হার্টের ছন্দের সাথে সুসংগতভাবে খোলা এবং বন্ধ হয়। হার্টের ভালভগুলি হৃৎপিণ্ডের অভ্যন্তরে এবং বাইরে সঠিক দিকে রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাতে মানুষের শরীর সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ পায়।
হৃদপিণ্ডকে সুস্থ ও সজীব রাখতে রক্ত এক দেওয়াল থেকে অন্য দেওয়ালে প্রবাহিত হয়, তারপর তা শরীরে পাম্প করে। রক্ত এক ভালভ থেকে অন্য ভালভে যায় একটি গেইটের মধ্য দিয়ে, আর এই দরজাগুলোকে বলা হয় ভালভ।
ভালভুলার রোগের ধরন?
হার্টের ভালভগুলোর রোগ প্রধানত দুই ধরনের হয়, স্টেনোসিস বা রিগারজিটেশন। দরজাগুলো খুলতে না পারাকে বলে স্টেনোসিস ও বন্ধ করতে না পারার কারণকে রেগারজিটেশন বলে। ভালভুলার রোগে আক্রান্ত একজন ব্যক্তির এক বা একাধিক ভালভে ব্লকেজ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টের ডিরেক্টর, ক্যাথ ল্যাব ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ভারত ভি পুরোহিত জানিয়েছেন ভালভুলার ডিজিজ কী, এর লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে-
ভালভুলার রোগের লক্ষণ
হুশিং শব্দ, যা একজন ডাক্তার স্টেথোস্কোপ দিয়ে শুনতে পারেন।
ভালভুলার রোগের কারণ
>> রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ
>> ডিজেনারেটিভ ভালভ ডিজিজ
>> হার্ট অ্যাটাক
>> কার্ডিওমায়োমাথিস
>> থাইরয়েড ডিজিজ
>> ডায়াবেটিস মেলিটাস
>> উচ্চ রক্তচাপ
>> রেডিয়েশন থেরাপি
>> জেনেটিক হার্ট ডিজিজ
>> পেসমেকার বা এআইসিডি লিড ইমপ্লান্টেশন ইত্যাদি।ভালভুলার রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সা
চিকিৎসকের মতে, ভালভুলার রোগ প্রতিরোধে দাঁত ও মুখের পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যদি কারো বাতজ্বর হয়, তাহলে তাকে প্রতিষেধক হিসেবে পেনিসিলিন ইনজেকশন দেওয়া হয়।
যদি ব্যক্তির বাতজ্বর থাকে কিন্তু কার্ডাইটিস না হয়, তাহলে ৫ বছর বা ব্যক্তির বয়স ২১ বছর না হওয়া পর্যন্ত ইনজেকশন দেওয়া হয়। যদি কার্ডাইটিস থাকে কিন্তু ভালভুলার ক্ষতি না হয়, তবে একটি প্রফিল্যাকটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়।
ভালভুলার রোগ এড়ানোর উপায়
>> কম লবণযুক্ত খাবার খান
>> নিয়মিত ব্যায়াম করুন (সপ্তাহে ৫-৬ দিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট)
>> স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
>> ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলা
>> স্ট্রেস কাটিয়ে উঠুন
>> যোগব্যায়াম ও ধ্যান করুন
>> সোশ্যাল মিডিয়া, মোবাইল/ভিডিও গেমের আসক্তি এড়িয়ে চলুন।