শিশুকে গোসল করানোর সময় যেসব বিষয় খেয়াল করবেন
শিশুকে গোসল করানোর সঠিক পদ্ধতি অনেক মা-বাবাই জানেন না। ছোট্ট একটা প্রাণ। তাকে পৃথিবীতে আনতে ১০ মাস মাকে কতই না কষ্ট করতে হয়। শিশু জন্ম নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তাকে গোসল করানো হয়। এ ক্ষেত্রে মা-বাবাকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। কারণ, একটু বেশি গোসল করালে শিশুর ঠান্ডা লেগে বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। তাই জেনে নিন শিশুকে গোসল করানোর সঠিক নিয়ম। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ে জানানো হয়েছে কীভাবে আপনার শিশুকে গোসল করাবেন?
শিশুকে গোসল করানোর নিয়ম
প্রথম ধাপ : পরিষ্কার কিছু তুলা ও পরিষ্কার টাবে কুসুম গরম পানি নিন। শিশুকে গোসলের আগে প্রথমে তার শরীরে কোনো ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করুন। তাই প্রথমে তুলা দিয়ে বাচ্চার মুখ, চোখ মুছে নিন। তারপর তুলা ভিজিয়ে তুলার পানি চিপে ফেলে দিন। ভিজা তুলো দিয়ে পুনরায় মুখ, গাল, চোখ, কান, গলা মুছে দিন। শিশুদের শরীর খুব নরম ও কোমল হয়। তাই খুব জোরে ঘষবেন না। শিশুকে যতটা সম্ভব আলতো করে স্পর্শ করুন।
দ্বিতীয় ধাপ : শিশুকে কোলে নিয়ে তার মাথাটি বাথটাবের ওপর নিন। আপনার হাতের তালুতে পানি নিয়ে দুই থেকে তিনবার তার মাথাটি ভিজিয়ে দিন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে মাথাটি আলতো করে মুছে টিস্যু বা তোয়ালে দিয়ে মুছে দিন।
তৃতীয় ধাপ : এখন শিশুটির শরীর ধুতে হবে। শিশুর শরীরে কোনো কাপড় বা তোয়ালে থাকলে তা খুলে নিন। দুই হাত দিয়ে একটু বাঁকা করে ধরুন, যাতে মাথা ও গলা পানির ওপরে থাকে। এভাবে আস্তে আস্তে শিশুকে পানিতে নামান।
চতুর্থ ধাপ : অল্প অল্প পানির ঝাপ্টা দিয়ে গলার নিচ থেকে সারা শরীর মুছে দিন। শিশুটিকে ৪০/৫০ সেকেন্ডের বেশি পানিতে না রাখাই ভালো। পানি থেকে তুলে সঙ্গে সঙ্গে নরম তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে নিন। আস্তে আস্তে শরীর মুছে দিন।
পঞ্চম ধাপ : শিশুকে গোসলের পর ঘাড়, পিঠ আলতো করে ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। বেশির ভাগ শিশুই এতে খুব আরাম পায়।
শিশুর জন্মের পরপরই অনেকে শিশুর মাথা ন্যাড়া করে ফেলে। কিন্তু অনেক শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শিশুর মস্তিষ্কে চাপ পড়তে পারে। তাই শিশুর জন্মের কয়েক দিন পর মাথা কামানো ভালো।