ইসবগুলের যত উপকারিতা
অনেকেরেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই শরণাপন্ন হন ইসবগুলের। পেট পরিষ্কার করার আদি অকৃত্রিম ওষুধ হল ইসবগুল। তবে এই ভুসি শুধু পেটই পরিষ্কার করে না, এর আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে।
১.ইসবগুলে অনেকগুলো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। সেসব উপাদান শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ১ টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন। এতে কোনও ফ্যাট থাকে না।
২. ইসবগুল খেলে শরীরে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ করে ৩ বার ইসবগুল খেতে পারেন। পানিতে গুলে খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।
৩. অনেকেরই প্রস্রাবের সমস্যা থাকে। তাদের জন্য উপকারী খাবার ইসবগুল। এটি নিয়মিত খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে। আখের গুড়ের সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। এটি সকাল ও বিকালে খেতে পারেন।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শরীরের ভিতরের স্বাভাবিক নানা ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে গোটা শরীরেই। এই সমস্যার সমাধানে খেতে পারেন ইসবগুলের ভুসি। এটি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে যায়। এরপর পেটের সব বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে।
৫. অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। ভুলভাবে খাবার খাওয়ার অভ্য়াস এর বড় কারণ। এটি দূর করার অন্যতম ঘরোয়া উপায় হতে পারে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া। এটি পাকস্থলীর দেওয়ালকে বাঁচিয়ে রাখে। অ্যাসিডের জন্য ক্ষয়ে যেতে দেয় না।
৬. ডায়রিয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রয়েছে ইসবগুলের। এটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে কাজ করে। এদিকে ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়রিয়া দ্রুতই সেরে ওঠে।
৭. হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খান। কারণ এতে ফাইবার থাকে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি খাদ্য থেকে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।