সকালের যেসব অভ্যাস মন ভালো রাখে
সকাল ভাল হলে পুরো দিনটাই ভাল যাবে। প্রতিদিন সকাল বেলার একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন আপনাকে জাগ্রত করে তুলবে। আপনার বিষণ্নতা দূর করে দেবে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন দূর করার জন্য সকাল হচ্ছে উত্তম সময়। রাতের ঘুম ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে। এরপর ঘুম থেকে ওঠার পর এমন কিছু কাজ রয়েছে যা আপনার ডিপ্রেশন দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
দাঁত মাজা
দাঁত ব্রাশ করা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই একটি সাধারণ কাজ। কিন্তু যে মানুষটি বিষণ্ণতায় ভুগবে তার শক্তির মাত্রা খুবই কম থাকবে। এটি এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যায় মনে হয় আমরা সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তাই দেখা দেবে অলসতা। ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই দাঁত মেজে ফেলেন। এতে আপনি চাঙ্গা অনুভব করবেন। বিষণ্ণতা মোকাবেলা করার জন্য কাউকে প্রথমে যা করতে হবে তা হল বিছানা থেকে নামা। এরপর দাঁত মাজা।
সূর্যের আলো নেওয়া
সূর্যের আলো আমাদের শরীরের হরমোন বাড়াতে পারে। এটি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা
সকালের নিয়মিত রুটিন করুন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। একটি সফল দিনের জন্য নিজেকে সেট আপ করার একটি দুর্দান্ত উপায় এটি। এতে ঘুমের মান ভাল হয়। যা হতাশার সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।
ব্যায়াম
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, ব্যায়াম বিষণ্নতার জন্য একটি কার্যকর চিকিৎসা। কারণ এটি এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে। যা আ্মাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। বিশেষ করে, ডিপ্রেশনে থাকাকালীন সময় ব্যায়াম বেশ ভাল ফলাফল দেয়।
সুষম নাস্তা
অনেকেই সকালের নাস্তা খায় না। এটি শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। বিষণ্ণতায় থাকাকালীন সময়ে খালি পেটে থাকলে তা মেজাজ আরও খারাপ করে। সকালে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। এটি আপনার শরীরকে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দিতে সহায়তা করবে।
প্রতিদিন সকালে নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। নিজেকে নিয়ে চিন্তা করুন। আপনার যা আছে তা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন।