মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, সিলেট

  ২৪ জুন, ২০১৭

হকারদের দখলে ফুটপাত: ট্রাফিক পুলিশের বাড়তি আয়!

সম্প্রতি নগরের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ অভিযান চালায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। দুই-একদিন ফুটপাত হকারমুক্ত থাকলেও বিকল্প হিসেবে হকাররা ভ্যানগাড়ি দিয়ে কৌশলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু করে। কিন্তু গত ৪-৫ দিন থেকে নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ফুটপাত থেকে শুরু করে রাস্তার অর্ধেক দখল করে হকাররা নির্বিঘ্নে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঈদেকে ঘিরে নগরীতে এখন বাড়তি চাপ। বিভাগীয় শহর এখন মানুষের পদচারণায় মুখর। নগরবাসীর ব্যবহৃত যানবাহনের সাথে যোগ হয়েছে বাইর থেকে আসা যানবাহন। এতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। এসএমপি সূত্র জানা যায়, ঈদে নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ও ফুটপাত, রাস্তা দখলমুক্ত রাখতে এবং যানজট নিরসনে দিনে ও রাতে অতিরিক্ত ৪শ ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে রাস্তাঘাটে তাঁদের কোন কার্যক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে না। নগরীর নয়াসড়কসহ বিভিন্নস্থানে কমিউনিটি পুলিশ কিছু তৎপরতা দেখা মিললেও নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত অর্থ ব্যস্ত। বিশেষ করে বাইর থেকে আসা গাড়িগুলো থেকে নানা অজুহাতে অবৈধ আয় করতে ট্রাফিক পুলিশ ব্যস্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে নগরের মোড়ে মোড়ে লোহার খাঁচা বসালেও দেখা মেলেনা ট্রাফিক পুলিশের। এতে যানজটে পড়ে রীতিমতো নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। সিলেট নগরীতে ১০টি লোহার খাঁচা বসিয়ে দ্বায়িত্ব পালন করছে ট্রাফিক পুলিশ। এই খাঁচার ওপর দায়িত্বে দিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টরা মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বাড়তি আয়ের দ্বান্দায়। কেউ নগরীর ভেতরে চেকপোস্ট বসিয়ে মামলা রুজুর প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। এদিকে ট্রাফিক টুলিশ না থাকায় ১০টি লোহার খাঁচা এখন নগরবাসীর গলার কাঁটা।

শনিবার নগর ঘুরে দেখা গেছে, করিম উল্লাহ, জেল রোড, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, শাহজালাল উপশহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ১০টি লোহার খাঁচা বসানো হয়েছে। এতে ট্রাফিক পুলিশ এই খাঁচার ওপর যানজট নিরসনের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে লাপাত্তা। মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ কমে যাওয়ায় যানজট নিরসন হচ্ছে না। যে-যার মতো এলোপাতাড়ি গাড়ি দাঁড় করাচ্ছেন। ঈদের বাজারে এসে ক্রেতারাও মোড়ে মোড়ে জটলা পাকাচ্ছেন। গাড়ি ও জনজটে অস্থিরতা বিরাজ করছে নগরীতে। বিশেষ করে জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, নয়াসড়ক, আম্বরখানা ও লামাবাজার মোড়ে থমকে থাকে সড়ক। দীর্ঘ সময় যানজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষজনকে। হাঁটা চলাচলের অসুবিধায় পড়ে নগরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। নগরীতে ২৫ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট রয়েছেন। তাদের ওপর গোটা নগরীর দায়িত্ব। এর আগেও সিলেট নগরীতে ঈদের সময় ট্রাফিকের সহকারী কমিশনারদের সিগন্যাল মোড়ে দাঁড়িয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার ঈদে সহকারী কমিশনার তো দূরে থাক, সার্জেন্টরাও নগরীর ভেতরে খুব কম দায়িত্ব পালন করছেন।

এসএমপির টিআই প্রশাসন আশিদুর রহমান জানান, এ খাঁচাগুলো বসানো হয়েছিল চেকপোস্টের জন্য। অস্থায়ী কিছু খাঁচা রয়েছে, সেগুলোও বসিয়েও চেক পোস্ট করা হয়। প্রায় ১০টি খাঁচা কিছু মোড়ে স্থায়ী করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসএমপির ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার তোফায়েল আহমদ বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে নগরে বাড়তি মানুষ। তাই কিছুটা যানজট। তবে খাঁচাগুলো পরিকল্পনা করে বসানো হয়েছে। আর জনবলও কম। সহকারী কমিশনারের একটি পদ শূন্য রয়েছে। সার্জেন্টদের মামলা রুজু করতে হয়। তবে আগের তুলনায় এখন তারা মামলা কম রুজু করছেন।

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ফুটপাত দখল,পুলিশের আয়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist