দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ০৪ মার্চ, ২০২০

দশমিনা হাসপাতালে ডাক্তার সংকটে অপারেশন বন্ধ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে প্রসূতি মায়েদের সিজারসহ বড় ধরনের অপারেশন করা যাচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারদের পদ শুন্য থাকায় অপারেশনের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হাজারো মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন গর্ভবতী মায়েরা।

সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি না থাকায় সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করেন উপজেলার সচেতন মহল।

জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৮ জনের অধিক জনগণের চিকিৎসাসেবার জন্য সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র এ হাসপাতালটি যাত্রালগ্ন থেকেই চিকিৎসক সংকটের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিপুল সংখক জনগণের জন্য সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় উপজেলাবাসীকে।

হাসপাতালটিতে বর্তমানে সকল প্রকার অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপদে। সরকারি হসপাতালে অপারেশনের সুবিধা না পেয়ে অনেকে ছুটেন বিভাগীয় শহর বা জেলা সদরে। উপজেলার অধিকাংশ মানুষ আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে জেলা বা বিভাগীয় শহরে গিয়ে অপারেশন করাতে পারেন না। ফলে অনেকে চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে বর্তমানে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (স্ত্রী রোগ), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেটিস্ট), আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও মেডিকেল অফিসারের পদ শুন্য রয়েছে। এসব পদ শুন্য থাকায় অপারেশন কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।

হাসপাতালটিতে প্রসূতি সেবা নিতে আসা কয়েকজন বলেন, দশমিনা হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাদের উন্নত চিকিৎসা ও সিজারিয়ান অপারেশনের দরকার হলে পটুয়াখলী অথবা বরিশাল হাসপাতালে রেফার করেন। এতে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। অনেকে আবার টাকার কারণে জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা না করাতে পেরে মারা যান।

তাদের মতে, দশমিনা হাসপাতালে সরকারিভাবে অপারেশন করা গেলে তাদের খরচ অনেক কম হতো। স্থানীয়রা দ্রুত দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসকসকট দূর করে অপারেশন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেওয়া হলে দশমিনা হাসপাতালে আবার নতুন করে অপারেশনের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে করোনাভাইরাসের মিটিংয়ে থাকায় বক্তব্য দিতে পারেননি।

পিডিএসও/হেলাল​

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অপারেশন,দশমিনা হাসপাতাল,পটুয়াখালী,ডাক্তার সংকট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close