ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রাজবাড়ী রেলওয়ে ১৫ নম্বর কাচারী (ভূ-সম্পত্তি বিভাগের) মো. বাবু বাদী হয়ে স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমানকে আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০ জনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে বোয়ালমারী থানায় মামলাটি করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। জিয়াউর রহমান স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কর্মরত আছেন।

জিয়াউর রহমানের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রেলের জায়গায় বড় ধরনের মডার্ন ডায়গনস্টিক সেন্টার নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। গত বুধবার জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন।

জানা যায়, বোয়ালমারী রেল স্টেশন হতে শিবপুর রেলগেট পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে দিয়ে রেলের কয়েক একর সম্পতি দখল করে ঘর তুলে অনেকে ব্যবসা করছেন। কেউ ভাড়া দিয়েছেন। তবে অনেকে লিজ নিয়েছেন। যারা অবৈধ দখলদার আছেন বা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে লিজ চুক্তি নবায়ন করেনি, তাদের উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রেলওয়ের উর্ধতন কতৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে দুটি বুলডেজার নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। স্টেশন ও শিবপুর রেলগেট এলাকায় ৮-১০টি দোকান উচ্ছেদ করার পর রেলওয়ের লোকজনের উপর চড়াও হয় স্থানীয় লোকজন। এ সময় কানুনগো জিয়াউল জিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে বলে জানা যায়। তখন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে রেলেওয়ের লোকজন ফিরে যায়।

এ ব্যপারে বক্তব্য জানতে স্বাস্থ্য সহকারী জিয়াউর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যপারে বোয়ালমারী সহকারী কমিশনার (ভুমি) গোলাম রাব্বানী বলেন, জেলা প্রশাসক আইন শৃংখলা রক্ষা করার জন্য আমাকে নিয়োগ করেছিলেন। ৮-১০টি দোকান উচ্ছেদ করার পর উচ্ছদ অভিযানে বাধা পড়লে অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি তদন্ত মো. মজিবর রহমান বলেন, রেল কর্তৃপক্ষের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মামলার কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।