বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

  ১৪ জুন, ২০২৪

নাটোরে অভিযোগ 

চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ পল্লী বিদ্যুতের সদস্য সচিবের 

ছবি: প্রতীকি

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিসে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সমিতি বোর্ডের সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সাজদার রহমান বাগুর ছেলে এবং ভুক্তভোগী সোহেল রানা একই উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাস ছয়েক আগে বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিসে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরির জন্য স্থানীয় সোহেল রানাকে প্রস্তাব করেন নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান। সোহেল রানার স্ত্রীকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হবে বলে চুক্তি হয় উভয়ের মধ্যে। সেই অনুযায়ী পাঁচ কিস্তিতে ৩ লাখ টাকা সোহেল রানার কাছ থেকে গ্রহণ করেন মিজানুর। কথা ছিল বাকি দেড় লাখ টাকা যোগদানের পর পরিশোধ করা হবে। কিন্তু ৩ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান সদস্য সচিব মিজানুর রহমান। ৬ মাস পার হয়ে গেলেও নিয়োগ দিতে না পারায় মিজানুরের কাছে টাকা ফেরত নিতে ধর্ণা ধরে সোহেল। কিন্তু ভুক্তভোগীকে টাকা পরিশোধ না করে উল্টো দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে। এমনকি টাকা লেনদেনের ঘটনা কউকে না বলতে বিভিন্ন রকম হুমকি দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।

এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বিকার করেছেন অভিযুক্ত মিজানুর রহমান। তিনি বলেন ‘সোহেল রানার স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে আমাকে বলেছিলেন। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আমার সম্মান নষ্ট করতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।’

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার (জি.এম.) ফখরুল আলম লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে জানান, তাদের সমিতি বোর্ডের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ওই পদে থেকে কোনো ভাবেই কাউকে চাকরির আশ্বাস দিতে পারেন না। এবং তার মাধ্যমে চাকরির কোনো সুযোগও নেই। তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নাটোরের বাগাতিপাড়া,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি,চাকরির প্রলোভনে,অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close